সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সদ্য ভূমিষ্ঠ এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার বেসরকারি ডেল্টা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নবজাতকের বাবা আশিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার বাসিন্দা তার স্ত্রী ইরিনকে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিজার অপারেশনের জন্য ডেল্টা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুর পৌনে একটার দিকে অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ইরিন। জন্মের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে বলে পরিবারের সদস্যদের জানায়। কিছুক্ষণ পর জানানো হয়, নবজাতক মারা গেছে।
আশিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার স্ত্রীকে ভর্তি করার সময় একাধিক খালি ফরমে স্বাক্ষর নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপারেশনের আগে তারা বলেছিল বাচ্চার অবস্থা ভালো। কিন্তু অপারেশনের পরই জানায়, বাচ্চার হার্টবিট কম ছিল এবং পেটে থাকতেই মলমূত্র খেয়ে ফেলেছে। অথচ তারা আগে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি এবং আমাদেরও কিছু জানায়নি। আগে জানালে আমরা আইসিইউ সুবিধাযুক্ত হাসপাতালে নিয়ে যেতাম।”
তিনি আরও বলেন, “বাচ্চা মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সরে যায়। তারা কোনো সান্ত্বনা না দিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চাই।”
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি আগে জানতাম না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তের জন্য মেডিকেল অফিসারকে পাঠানো হবে। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এরপর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রতন পারভেজ ডেল্টা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। তবে তিনি গিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সেখানে পাননি।
হাসপাতালটির নথি অনুযায়ী, অপারেশনের সার্জন ছিলেন ডা. ওসমান গণি এবং এ্যানেসথেসিস্ট ছিলন ডা. মো. আবু বককর সিদ্দিক।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



