জুমবাংলা ডেস্ক : কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুশ্চিতে ‘বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নামের একটি এনজিও ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই সংস্থার ভুশ্চি দক্ষিণ বাজারের কার্যালয়ে অর্ধশতাধিক গ্রাহক ঋণের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারেন অফিসের কর্মকর্তারা পালিয়েছেন। গ্রাহকদের বেশির ভাগই নারী। পরে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
সংস্থাটির ঋণ বই ও অফিসের সামনের দেয়ালে সাঁটানো ব্যানারে প্রধান কার্যালয়—মতিঝিল ১০৫/৪, ঢাকা-১০০০ উল্লেখ রয়েছে।
ভুক্তভোগী অটোরিকশাচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গত রবিবার আমাদের গ্রামের আবদুর রহমানের বাড়িতে বন্ধনের ব্যবস্থাপক পরিচয়ে নাদিম হাসান ও একজন নারী কর্মকর্তা আসেন। তাঁরা আমাদের বলেন, মাত্র চারজনকে সদস্য করব। এক হাজার টাকা করে জমা দিয়ে সদস্য হতে হবে।
সদস্যরা যত টাকা ঋণ নেবে তার ১০ শতাংশ টাকা বন্ধনে অগ্রিম জমা রাখতে হবে। তাঁদের কথা শুনে আমি, আমার গ্রামের কৃষক বাবুলসহ চারজন সদস্য হই। আমি চার লাখ টাকা ও বাবুল ৫০ হাজার টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বন্ধনের লোকেরা গ্রামে এসে আমার থেকে ৪০ হাজার টাকা ও বাবুলের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নেন। তাঁরা সকাল ১০টায় ভুশ্চি বাজার অফিস থেকে আমাদের ঋণ দেবেন বলে জানান। সেখানে গিয়ে দেখি অফিসে কেউ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের গ্রাম ছাড়াও ছোটতুলা, কলমিয়া, ভৈরবপুর, জামুয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের অসচ্ছল নারী-পুরুষদের ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
সংস্থার ভাড়াকৃত অফিসের মালিক আলেক হোসেন বলেন, ‘গত রবিবার বন্ধনের ব্যবস্থাপক পরিচয়ে জাহিদ নামের একজন আমার অফিসটি ভাড়া নিয়েছিলেন। মাসিক ছয় হাজার টাকা ভাড়ার মধ্যে আমাকে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে বলেছিলেন পরের রবিবার চুক্তি করে বাকি টাকা ও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম দেবেন।
মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে তাঁরা এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে অনেক টাকা হাতিয়ে উধাও হয়েছেন।’ সংস্থাটির দুজন কর্মকর্তা নাদিম হাসান ও জাহিদের মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার ইউনিয়নের কলমিয়া গ্রামের একজন নারী আমাকে জানিয়েছেন ‘বন্ধন’ নামের একটি এনজিও তাঁর কাছ থেকে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা জমা নিয়ে পালিয়ে গেছে। আমি তাঁকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।”
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ‘গ্রাহকদের টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো ডকুমেন্টারি বিষয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।