জুমবাংলার ডেক্স: নীলফামারীতে বিদ্যালয় চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দিয়ে হাত পাখায় বাতাস করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও ওই স্কুল শিক্ষিকার বিদ্যালয় চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে শুয়ে থাকার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছা. পেয়ারী বেগম দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিমের ছত্রছায়ায় এ সব কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিভাবকেরা অভিযোগ করেছেন। তিনি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায় পেয়ারী বেগম শেণিকক্ষে বিছানা পেতে ঘুমাচ্ছেন। পাশেই একটি শিশু স্মার্ট ফোনে গেম খেলছে। ওই ছবিতে শিক্ষিকার পাশে হাতপাখা, টিফিন ক্যারিয়ারের বাটি এবং ভ্যানিটি ব্যাগ রয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা যায় তিনি খাতায় কিছু লিখছেন। তাকে ঘিরে ছাত্রছাত্রীরা দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে থেকে একজন তাকে বাতাস করছে।
অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ, পেয়ারী বেগম প্রায় প্রতিদিনই ক্লাসে ঢুকেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাত পাখা ধরিয়ে দেন। তিনি পালাক্রমে শিক্ষার্থীর বাতাস করতে বলেন। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের ছত্রছায়ায় তিনি শ্রেণিকক্ষে বিছানা পেতে ঘুমান। এ নিয়ে কথা বলায় এবং ছবি তোলায় স্থানীয় একজনকে মামলার ভয়ও দেখান ওই শিক্ষিকা।
এ প্রসঙ্গে জানতে গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশে বাধা দেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যানেজিং কমিটিসহ বসে আলোচনাসাপেক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল কাফি বলেন, তাকে (পেয়ারী বেগম) সংশোধন হওয়ার সুয়োগ দিতে হবে। তিনি সবার সামনে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি ছবিগুলো দেখেছি। আমি অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে শোকজ করব। জানতে চাইব কি কারণে তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন শিশুদের দিয়ে এ সব কাজ করান।’
‘বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোর কোনো নিয়ম নেই। যদি কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা এ ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।