জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে সহকর্মীর গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রবিবার (৯ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে মনিরুল হকের মরদেহ। সোমবার সকাল ১০টায় আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানুষের ঢল নামে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, গ্রামের বাড়িতে মনিরুলের মরদেহ এসে পৌঁছালে স্বজনদের বুকফাটা কান্নায় যেন আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। অবতারণা ঘটে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। মনিরুলের মরদেহ দেখতে ছুটে আসেন আশপাশ এলাকাসহ দূরদূরান্তের শত শত মানুষ। এ সময় ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। শোকে বিহ্বল স্বজন-প্রতিবেশীরাও।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৪ সালে নেত্রকোণার আঞ্জুমান সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন মনিরুল। পরে ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়ে ৪র্থ সেমিস্টার পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালের শেষের দিকে পুলিশে যোগ দেন।
তিন বছর আগে জেলার পূর্বধলা উপজেলায় বিয়ে করেন মনিরুল। তার স্ত্রীর নাম তানিয়া আক্তার তন্বী। তাকি নামে তাদের দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
মনিরুল হকের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন আছেন তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার তন্বী। দুজন নারী তার মাথায় পানি ঢালছেন। বাবাকে খুঁজে ফিরছে দেড় বছর বয়সী ছেলে তাকি।
কিছুক্ষণ পর সংজ্ঞা ফিরলে তন্বীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার স্বামী একজন পুলিশ সদস্য। তাকে কেন গুলি করে মারল? আমি এর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমার সন্তানের কী অইবো? আমার সন্তানরে কে দেখবো?’
অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের নাম কাওসার আহমেদ। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দাড়েরপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর ছেলে ।
মোদির শপথের সময় রাষ্ট্রপতি ভবনে রহস্যময় প্রাণী নিয়ে তোলপাড়
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাওছারের গুলিতে নিহত হন তার সহকর্মী মনিরুল। এ সময় গুলিতে আহত হন জাপানি দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।