জুমবাংলা ডেস্ক : যশোর শহরের শেখহাটি আদর্শপাড়ায় নিজ বাড়িতে শাহানারা বেগম (৫৫) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। নিখোঁজের একদিন পর বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বাড়ির তালা ভেঙে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে একটি নোটপ্যাড উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ভাড়াটিয়ারা স্বীকারোক্তি উল্লেখ করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা গেছে, নিহত শাহানারা বেগমের স্বামী আতিয়ার রহমান পেশায় ইজিবাইক চালক। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন ওই বাড়িতে। বাড়ির একটি ঘরে সস্ত্রীক ভাড়া থাকতেন বাবলা নামে এক যুবক। ঘটনার পর থেকে ওই দম্পতিসহ সুমন নামের বাবলার এক খালাত ভাই পলাতক রয়েছেন।
নিহতের স্বামী আতিয়ার রহমান জানান, বুধবার স্ত্রী শাহানারাকে আহাদ ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে দুপুরে বাসা থেকে বের হন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে প্রধান ফটকসহ সব ঘরে তালা ঝুলতে দেখেন। দুই ছেলে ইউসুফ ও সোহেলসহ তিনি রাতভর আশপাশে ও নিকটাত্মীয়দের বাসায় খোঁজ করেও স্ত্রীর কোনো সন্ধান পাননি।
শাহানারার ছেলে ইউসুফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলে বসত ঘরের দরজায় রক্তমাখা কাপড়ের টুকরো দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে শাহানারার রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
যশোর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার কক্ষে একটি নোটপ্যাড পাওয়া গেছে। তাতে চার পেজ ধরে হত্যার কারণ উল্লেখ করে গেছে। সেখানে পূর্বে তাদের বিরোধ, বাকবিতণ্ডা ও বিভিন্ন স্বর্ণালংকার নিয়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে। তবে আসলেই এই হত্যার কারণ কি, আসলেই এই নোটপ্যাড ভাড়াটিয়াদের কিনা সেটাও তদন্ত চলছে।
গৃহকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, তিন মাস আগে তার বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠা বাবলার বাড়ি যশোর সদরের তালবাড়িয়া গ্রামে। বাবলার ঘরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতো তার খালাতো ভাই সুমন। এরা দু’জনই মাদকাসক্ত ও চুরিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এটা জানতে পেরে তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের নেমে যাওয়ার কথা। একদিন আগে থেকেই তারা রহস্যজনকভাবে নিরুদ্দেশ।
প্রতিবেশীরা জানায়, তারা বুধবার বিকেলে ওই দুই যুবককে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে দেখেন। ঘর ছেড়ে দিতে বলায় শাহানারা ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে বাগবিতণ্ডাও হয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই মাসুদ পারভেজ বলেন, হত্যার পরে খুনিরা নিহতের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
জ্যাকুলিনের সঙ্গে নিজের প্রেমকে রামায়ণের সঙ্গে তুলনা সুকেশের
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পরিচিত লোকের হাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভাড়াটিয়া পরিবার খুনের সঙ্গে জড়িত বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।