বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় চরিত্র ‘একেন বাবু’র স্রষ্টা সুজন দাশগুপ্ত মারা গেছেন। বুধবার সকালে লেখকের কলকাতার বাড়িতে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই।
আমেরিকাবাসী হলেও বেশ কয়েক মাস হলো তিনি কলকাতাতেই ছিলেন। এই বইমেলাতেই তাঁর নতুন বই প্রকাশ পাওয়ার কথা। ‘দ্য একেন’ ছবির সংবাদ সম্মেলনেও তিনি হাজির ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। শেষ ৫০ বছর ধরে তিনি থাকতেন আমেরিকায়ই।
বুধবার সকালে তাঁর বাইপাস সংলগ্ন ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর দেহ। শোনা যাচ্ছে, তাঁর স্ত্রী মঙ্গলবারই শান্তিনিকেতনে গিয়েছেন। বুধবার সকালে পরিচারিকা এসে কলিং বেল বাজান। কিন্তু কেউ দরজা না খুললে তার পর দরজা ভাঙতে হয়। এ প্রসঙ্গে পর্দার একেন অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। দশ মিনিট হলো খবরটা পেয়েছি। সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। কিছু ভাবতে পারছি না এখন।’
প্রসঙ্গত অনির্বাণের মঞ্চ থেকে পর্দায় আসার সফর শুরু হয়েছিল এই একেনবাবুর হাত ধরেই। এখন পর্যন্ত একেন বাবুর মোট ছয়টি সিজন দেখানো হয়েছে ‘হইচই’-এ। চিত্রনাট্য পদ্মনাভ দাশগুপ্ত নিজের মতো গড়ে নিলেও মূল গল্প ছিল সুজনেরই। খুব অল্প সময় বাঙালি গোলগাল, হাসিখুশি, ভুল-বকা গোয়েন্দাকে আপন করে নিয়েছিলেন। এই সিরিজের বিপুল জনপ্রিয়তার পরই একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসা শুরু করে অনির্বাণের কাছে।
বাঙালি বরাবরই গোয়েন্দাপ্রিয়। ফেলুদা-ব্যোমকেশদের ভিড়ে একেন বাবুও দিব্যি জায়গা করে নিয়েছিলেন। নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে সুজন বলেছিলেন, ‘দর্শকের এত আগ্রহ, এত ভালোবাসা পেয়ে সত্যিই আপ্লুত। আমার একেন এখন সবার, তা নিয়ে হিংসা হয় না। তবে মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না, কী লিখব না লিখব! আমার একেন বন্দুক ধরত না। পর্দার একেন বন্দুক নিয়ে ছোটে। না, খারাপ লাগে না। বেশ ভালো লাগে। পদ্মনাভ-অনির্বাণ, ওরা এত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, আমার খারাপ লাগার কোনো জায়গাই নেই। আর আমার যখনই মনে হয় নতুন কিছু যোগ করতে হবে, তা সঙ্কোচ না করেই বলে দিই। ওরাও কিন্তু আমার কথা শোনে।’
সুজনের মেয়ে সায়ন্তনীও আমেরিকাবাসী এবং লেখিকা। তার স্ত্রীও লেখেন। একেন বাবুর পর আরো এক নারী গোয়েন্দা চরিত্র তৈরির কাজে মন দিয়েছিলেন সুজন ও তাঁর স্ত্রী। সেই গল্প কত দূর এগিয়েছিল, তা জানা যায়নি অবশ্য। সুজনের মৃত্যু প্রসঙ্গে এখনো সুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।