নাটোরে সম্পর্কের বিরোধের জেরে হাসপাতালে নিজ কক্ষে একান্ত বিশেষ সহকারীর (পিএ) হাতে খুন হন ডা. এ এইচ এম মো. আমিনুর ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের মাদ্রসা মোড় জনসেবা হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেন নাটোর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি আসাদ বগুড়া জেলার ধুনোট ফকিরপাড় এলালার ইলিয়াস আকন্দের ছেলে।
এসপি আমজাদ হোসেন বলেন, তিন বছর ধরে ডাক্তার আমিনুল ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) হিসেবে আসাদ কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, পিএ আসাদ ও হাসপাতালের একজন মেয়ে স্টাফের মধ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছু দিন আগে তাদের নিজেদের মধ্য মতবিরোধ দেখা দেয়। এরই একপর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট ডা. আমিনুল ইসলাম তার সহকারী আসাদ এবং ওই মেয়েকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করেন। তার সহকারী আসাদকে চাকরিচ্যুত করেন। এ ঘটনায় আসাদ প্রতিসিংসা ও ক্ষোভে বগুড়া থেকে একটি বোরকা ও দুটি ছুরি কেনেন। গত ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বোরকা পরে জনসেবা হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থান করেন। পরে রাতে কৌশলে ডা. আমিনুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন।
এসপি আরও বলেন, রাত ১টায় ডাক্তার আমিনুল ইসলাম হাসপাতালে ভিজিট শেষে তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর ডাক্তার তার প্রতি দিনের অন্য ওষুধসহ ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়েন। তিনি যখন গভীর ঘুমে, ঠিক রাত ৪টার দিকে আসাদ হাতে ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে গলা কেটে তাকে হত্যা করেন। হত্যা পর আসাদ সকাল ৬টায় হাসপাতাল থেকে কৌশলে বেরিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ গতকাল তাকে আটক করে।
তিনি আরও বলেন, হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের হেফাজতে থাকা বাকীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্য আলামত উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকার নিজ প্রতিষ্ঠান জনসেবা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তার নিজ কক্ষে থেকে গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ডাক্তার আমিনুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে হেফাজতে নেয়।
ডা. আমিরুল ইসলাম জেলার সিংড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার হাসান আলীর ছেলে। তিনি বিএনপিপন্থী চিকিৎসকের সংগঠন ড্যাবের জেলা আহ্বায়ক এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জিয়া পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।