স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারাতেই বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। কাঠমান্ডুতে চলমান অনূর্ধ্ব-২০ সাফে আজ স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের সমীকরণ ছিল গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে যেতে পারা-না পারার। বাংলাদেশ পারল না।
ড্র করলেই গ্রুপ সেরা হয়ে যেত বাংলাদেশ, কিন্তু গোলকিপারের হাস্যকর ভুলে প্রথম গোল খেয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে গেছে। গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল নেপাল, বাংলাদেশ এখন সেমিফাইনালে ভারতের সামনে পড়ার শঙ্কায়।
অন্য গ্রুপে ভারতই এই মূহূর্তে গ্রুপ শীর্ষে। তবে সে গ্রুপ থেকে কোন দুটি দল সেমিফাইনালে উঠবে, তা অবশ্য এখনো নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশের জন্য শঙ্কা এই যে, আগামীকাল বিকালে সেই গ্রুপের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র করলেও ভারতের গ্রুপ সেরা হওয়া নিশ্চিত। ভারত গ্রুপ সেরা হওয়া মানে তো ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশের বিপক্ষেই সেমিফাইনালে খেলা! ভারত সাফে কতটা শক্তিশালী, সেটা বোঝা যায় এই তথ্যে যে, অনূর্ধ্ব-২০ সাফের আগের পাঁচ আসরে তিনবার চ্যাম্পিয়ন ভারত, দুবার নেপাল।
মারুফুল হকের অধীন বাংলাদেশ আজ শুরুতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। দারুণ দাপটে শুরু করেছিল নেপাল। তবে ১৬ মিনিটে তাদের এগিয়ে যাওয়ায় অবদান বাংলাদেশ গোলকিপার মেহেদি হাসান শ্রাবণের। কোথায় কর্নার পাওয়া বাংলাদেশ গোলের স্বপ্ন দেখেছিল, উল্টো কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বল বাংলাদেশের জালে!
কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার করেন নেপালের ডিফেন্ডার, বল চলে আসে বাংলাদেশের অর্ধে। নেপালের ফরোয়ার্ড সামির তামাং বলের পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন, তবে তখনো বাংলাদেশের শঙ্কার কিছু ছিল বলে মনে হয়নি। তামাংয়ের সামনে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডার ছিলেন, তাঁদের পেছনে শ্রাবণ। তা শ্রাবণের কাছে বল যাচ্ছে দেখে পাসের সুযোগ তৈরি করতে দুই ডিফেন্ডার দুই দিকে সরে গিয়েছিলেন, কিন্তু শ্রাবণ পাস দেওয়ার আগে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে তো!
লাফাতে থাকা বল নিয়ন্ত্রণে নিতে যেন এক মহাকাল লেগে গেল শ্রাবণের, তার সুযোগ নিলেন তামাং। শ্রাবণের পা থেকে বল কেড়ে নিলেন, শ্রাবণ আর সামলে উঠতে পারলেন না। এরপর তো তামাংয়ের সামনে একেবারে ফাঁকা গোলপোস্ট। কয়েক কদম দৌড়ে গিয়ে নিশ্চিন্তে বল জালে জড়িয়ে দেন নেপালি ফরোয়ার্ড।
এর দুই মিনিট পর আবার গোল খেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এবার গোলের পথে নেপালের ফরোয়ার্ড নিরঞ্জন ধামার ফিনিশিংয়ের প্রশংসা করতেই হয়! থ্রো-ইনের পর ডানপাশ ধরে দারুণ পাসিংয়ের পর ক্রস আসে বাংলাদেশ বক্সে, পেছন থেকে ছুটে আসা ধামা বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে দারুণ প্রথম স্পর্শে বল জড়িয়ে দেন জালে।
বাংলাদেশ কোচ মারুফুল এরপর দুটি বদল আনেন, তাতে খেলায় কিছুটা গতি ফেরে। বাংলাদেশ এরপর টানা আক্রমণ করেছে। ফল এসেছে ৪৩ মিনিটে। তবে সেটা পেনাল্টি থেকে। বক্সে বল দখলে নিতে গিয়ে নেপালের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে ‘স্যান্ডউইচ’ হয়ে গিয়েছিলেন বদলি নামা বাংলাদেশ ফরোয়ার্ড মিরাজুল, পেনাল্টি দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোলটা করেন মিরাজুলই।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের পাসিং ভালো হয়েছে, কাঠমান্ডুর টার্ফে সেটাও প্রশংসা পাওয়ার মতো। তবে অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে আর আক্রমণে পূর্ণতা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। নেপালও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ করায় ম্যাচটা জমে ওঠে। তবে বাংলাদেশের তাতে লাভ হলো কী!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।