বিনোদন ডেস্ক : ‘আমাকে এমন কোনো চরিত্রে এখনও অভিনয় করতে হয়নি, যেগুলো খুবই চ্যালেঞ্জিং। পরিচিত মুখ, চেনা জীবনধারা, আশপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনার ছায়া আছে এমন গল্পই পর্দায় তুলে ধরতে হয়েছে। ভালো লাগার বিষয় হলো, সেসব গল্প ও চরিত্র দর্শকের কাছে সাদামাটা মনে হয়নি; বরং অনেকে অভিনীত নাটক, টেলিছবির প্রশংসা করেছেন। যে জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করি।’
অভিনয় ক্যারিয়ার আর জনপ্রিয়তা নিয়ে এমন কথাই শোনালেন তরুণ অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান।যদিও তিনি বলেছেন, চেনা জীবনের ছায়া খুঁজে পাওয়া যায় এমন গল্প, চরিত্রে বেশি কাজ করেছেন।
নিরীক্ষাধর্মী কিংবা নিজেকে ভেঙে পুরোপুরি খোলনলচে বদলে আনকোরা চরিত্রে চ্যালেঞ্জ নিয়ে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা তাঁর এখনও হয়নি। এরপরও যেসব চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন, তা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা কি সহজ ছিল– প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
সে প্রশ্ন করতেই সাদিয়া বলেন, “অভিজ্ঞতা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নয়। তাই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনীত চরিত্র দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারার কৃতিত্বটা সবার আগে নির্মাতা, নাট্যকার ও ক্যামেরার পেছনের মানুষগুলোর। একই সঙ্গে সহশিল্পীদেরও অবদান অনেকখানি। যাদের সঙ্গে অভিনয় করেছি, তারা কমবেশি সবাই পরীক্ষিত। তাই অভিনেত্রী হিসেবে যতটুকু পরিচিতি পেয়েছি, দর্শকের ভালোবাসা কুড়াতে পারছি– তার পেছনে তাদের সবারই কিছুটা হলেও ভূমিকা আছে। ‘কাজলরেখা’ ছবির কথাই বলি। কয়েকশ বছর আগের কাহিনি, সেই সময়ের মানুষগুলোর কথা বলার ধরন, পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে অনেক বিষয়ই ছিল অজানা। তাই কাজলরেখার শৈশবের চরিত্র পর্দায় তুলে ধরা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়েছে পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দিকনির্দেশনার কারণে।”
“একইভাবে ‘ফুলের নামে নাম’ নাটকের বেলি, ‘বাবুই পাখির বাসা’র জুলি, ‘দই ফুচকা’র নওরীন, ‘মায়াশালিক’-এর তারা, ‘আজ আকাশে চাঁদ নেই’-এর রুপাসহ আরও যেসব চরিত্র দর্শকের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে, সেগুলো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পেরেছি নির্মাতা ও সহশিল্পীদের সহযোগিতার কারণে। আসলে আমরা যা করি, সেটা একটা টিমওয়ার্ক। যেখানে সম্মিলিতভাবে ভালো কিছু করার চেষ্টা না থাকলে সাফল্য আসে না। তাই সাফল্য উপভোগ করি কিন্তু সেই সাফল্যে নিজের অবদানকে বড় করে দেখি না।”
সাদিয়ার এ কথায় বোঝা গেল, সৃষ্টিশীল প্রতিটি কাজের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই স্বচ্ছ। তাই প্রতিটি কাজে নিজের সক্ষমতা যাচাই করে নেন। স্রোতে গা ভাসিয়ে যে কোনো কিছু করতেও নারাজ তিনি। তাই বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে অভিনয় জগতে পা রেখে একটু একটু করে পথ পাড়ি দিচ্ছেন।
জনপ্রিয়তার দৌড়ে অংশ না নিয়ে সেই কাজটি করতে চান, যা দর্শক মনে অনেক দিন বেঁচে থাকবে। তাই বড় পর্দার হাতছানিতে এখনই ছুটে যেতে চান না। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে কাজলরেখা মুক্তি পাক, দেখি দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন, তারপর বড় পর্দা নিয়ে আলাদা করে ভাবব।’
একইভাবে নিজেকে ভেঙে নতুন সব চরিত্রেও তুলে ধরতে চাই, যখন বুঝব সেই চরিত্রের জন্য আমি পুরোপুরি প্রস্তুত। তখন চ্যালেঞ্জ নিতেও দ্বিধা করব না। কারণ, সবকিছুর পরও আমার একটাই চাওয়া, অভিনয়ের মধ্য দিয়ে পরিণত শিল্পী হয়ে ওঠা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।