আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তিনি ভেবে ছিলেন, থাইল্যান্ড থেকে নৌকা চালিয়ে এসে নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করেবন। কিন্তু ভাগ্য তাঁর সাথ দেয়নি। কিন্তু যাত্রাকালেই তিনি জল ও খাদ্যের অভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অনেকেই বলে থাকেন ‘ভালবাসা সব থেকে সুন্দর অনুভূতি।’ কাউকে ভালবাসা নিবেদন করা অনেকটাই সহজ, কিন্তু ভালবাসার জন্য আপনি কতদূর যেতে পারবেন? ভেবে পাচ্ছেন না! তবে শুনুন এই যুবকের গল্প।
ভালবাসার টানে এই ভিয়েতনামী যুবক এমন কাজ করেছেন, যা কোনও বলিউডি সিনেমার চিত্রনাট্যকে ১০ গোল দেবে। ৩৭ বছর বয়সী এই ভিয়েতনামী যুবকপ্রকৃত অর্থেই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে ‘ভালবাসা সীমাহীন’। সুদূর থাইল্যান্ড থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার নৌকা চালিয়ে তিনিতে মুম্বইতে কর্মরত নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে পড়েছিলেন হো হোয়াং হুং।
তিনি ভেবে ছিলেন, থাইল্যান্ড থেকে নৌকা চালিয়ে এসে নিজের স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করেবন। কিন্তু ভাগ্য তাঁর সাথ দেয়নি। কিন্তু যাত্রাকালেই তিনি জল ও খাদ্যের অভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকী যাত্রাকালে তাঁর নৌকার নেভিগেশন সিস্টেমও সঠিকভাবে কাজ করেনি। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই যুবকের কাছে শুধুমাত্র একটি স্যুটকেস ছিল। খাবার জল প্রায় ছিলই এবং মাত্র ১০ প্যাকেট নুডলস ছিল।
সৌভাগ্যবশত মাছ ধরতে সমুদ্রে নামা একটি নৌকা সিমিলান দ্বীপের নিকট হুংয়ের নৌকাটিকে দেখতে পায়। ওই এলাকাটি থাই মেইনল্যান্ড থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছিল। সঙ্গে সঙ্গে নৌসেনা বাহিনীকে খবর দেওয়া হয় এবং তাঁরা এসে হুংকে উদ্ধার করে।
থাইল্যান্ডের নৌসেনা বাহিনীকে হুং জানিয়েছেন তিনি এই ধরনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রযাত্রা করতে বাধ্য হয়েছেন কারণ করোনা মহামারি ও বিধিনিষেধের কারণে বিগত ২ বছর ধরে তিনি নিজের স্ত্রীকে স্বচক্ষে দেখেননি।
মার্চ মাসের ২ তারিখ হুং ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ডের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে নেমে ভারতগামী বিমান ধরবেন ভেবেছিলেন, কিন্তু তাঁকে ভারতে যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়নি। তখন তিনি সেখান থেকে বাসে চেপে ফুকেট চলে যান এবং সিদ্ধান্ত নেন নৌকা করেই তিনি স্ত্রীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। ৫ মার্চ তিনি ওই নৌকাতে চেপে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।