বিনোদন ডেস্ক : এবারের কুরবানির হাটে নায়ক, নায়িকা, আলোচিত ব্যক্তিত্বের নামে গরু উঠেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর পশুর হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে ‘শাকিব খান’ ও ‘জায়েদ খান’ নামের দুটি গরু।
চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার নামেও একটি গরু উঠেছে হাটে।
এদিকে কুরবানির হাট মাতাচ্ছে টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর ৩১ মণ ওজনের ষাঁড় ‘হিরো আলম’। নায়ক, নায়িকা বা আলোচিত ব্যক্তিত্বের নামে গরুর নাম রাখার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। অনেকেই বিষয়টিকে বিকৃত রুচির পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে হিরো আলম নিজে বিষয়টি ভালো চোখেই দেখছেন। তার নামে কুরবানির গরু রাখায় মোটেই ক্ষুব্ধ নন হিরো আলম। নাম ব্যবহার করে কেউ লাভবান হলে তিনি তাতে দোষ দেখেন না এ আলোচিত ব্যক্তিত্ব।
বর্তমানে একটি গানের শুটিংয়ে কলকাতায় রয়েছেন হিরো আলম। সেখান থেকেই গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন হিরো আলম।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ‘আমার নামে গরুর নাম রাখা হয়েছে, এতে আমি কষ্ট পাই নাই। নাম তো ভালোবাসা থেকে রাখছে। আমি ভিডিওতে দেখেছি। যে লোক হিরো আলম নামে গরুর নাম রাখছে সে ক্যামেরার সামনে ভালোবেসে নামটা রাখছে। আসলে যারা বিখ্যাত হয় তাদের নামেই গরুর নাম রাখা হইছে। সাধারণ কারো নামে তো নাম করা হয়নি। যাদের নাম আছে, যারা বিখ্যাত তাদের নামেই গরুর নাম রাখছে, এটা যেমন ভালোবাসা থেকে, তেমনই তারা হয়তো আমাদের নাম ব্যবহার করলে কিছুটা লাভবান হবে। হোক তাতে কী। আমরা তো নষ্ট হয়ে গেলাম না। ’
হিরো আলম আরও যুক্তি দেখান, ‘দেখবেন বিভিন্ন পোশাকের নাম জনপ্রিয় নাটকের নায়িকাদের নামে কিংবা সিনেমার নায়কদের নামে রাখা হয়। মানুষ এইসব পোশাক কেনার জন্য কত কাণ্ড করে। দেখলেন না পাখি জামা কেনার জন্য কত কী হয়ে গেল। তা গরুর নামও এভাবে রাখা হয়। যাতে চোখে পড়ে। ’
প্রসঙ্গত, মূলত ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় ‘হিরো আলম’। ।বয়স প্রায় ৪ বছর, লম্বায় সাড়ে ৮ ফুট। এর উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। এই ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। হিরো আলমের নামে ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে উৎসুক জনতা এর মালিক কামরুজ্জামানের খামারে ভিড় করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।