জুমবাংলা ডেস্ক : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পরে বাড়ির পাশে একটি পুকুর থেকে ইয়াসমিন আক্তার মোহনা (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে আটোয়ারী উপজেলার রাঁধানগর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ইয়াসমিন ওই এলাকার মকবুল হোসেনের মেয়ে এবং স্থানীয় বড়দাপ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, আটোয়ারী উপজেলার ফকিরগঞ্জ এলাকার এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কের সূত্রে মোবাইল ফোনে কথা বলত ইয়াসমিন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে তার মা আসমা খাতুন বকাঝকা করেন। পরে অভিমান করে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যার পরও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে রাতে আটোয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার বাবা। তবে ৩৮ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন ইয়াসমিনের খালা তোইয়বা খাতুন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
রাঁধানগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহিদ বলেন, ইয়াসমিনের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে যে, সে ফকিরগঞ্জ বাজারের এক দোকানদার তরুণের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলত। কথা বলতে নিষেধ করার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি। পরিবারের ধারণা, সে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এমএক্স প্লেয়ারের সবচেয়ে বোল্ড ওয়েব সিরিজ এটি, রোমান্সের ভিডিও একা দেখুন
আটোয়ারী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, নিহত ইয়াসমিন সাঁতার জানত না বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে পুকুরে ঝাঁপ দিতে পারে অথবা পুকুরের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় পড়েও যেতে পারে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আপাতত একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।