বিনোদন ডেস্ক : নীল ছবির জগতে রানী ছিলেন মিয়া খলিফা। মাত্র তিন মাসেই পৌঁছে যান চাহিদার শীর্ষে। এরপর আবার বেরিয়েও আসেন, তারপরও সমালোচনা তার পিছু ছাড়েনি। কিন্তু লাস্যের এই জগতে আসতে চাননি মিয়া খলিফা।
এবার সে কথাই জানান ‘জিস্ট’ নামের এক সংবাদমাধ্যমকে। সেখানকার সাংঘাতিক অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন সাবেক এই পর্নতারকা।
২০১৪ সালে ২১ বছর বয়সে পর্নজগতে পা রেখেছিলেন মিয়া। সে অভিজ্ঞতা ছিল মারাত্মক। মিয়া জানান, পর্ন ভিডিওর এই জগতে আসার বয়স কিছুতেই ১৮ হতে পারে না। কারণ এখানে শিকারির মতো ওত পেতে থাকে মানুষজন। সারা জীবনের জন্য চুক্তিপত্রে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সেটাই ভয়ংকর একটা বিষয়। কারণ সেই বয়সে অনেকেই বোঝার ক্ষমতা থাকে না এই জগৎটা আসলে কেমন। মিয়া তিন মাসেই বুঝে গিয়েছিলেন। তাই হাজার কষ্ট সত্ত্বেও সেই জগৎ ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন।
পর্নজগত ছাড়ার পর মিয়া হয়েছেন সারা জোনস। খুব ছোট্ট একটা ঘরে দিন কাটাতে হয়েছিল। জানলার কাঁচ পর্যন্ত ভাঙা ছিল। বাথরুম আর রান্নাঘরের সিঙ্ক একটাই ছিল। এরপর অস্টিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মিয়া ওরফে সারা। সেখানে প্রথমে একটি বীমা কোম্পানিতে কাজ করেন। কিন্তু অতীত সেখানেও পিছু ছাড়েনি। সে চাকরি ছেড়ে আবার কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে ঢোকেন মিয়া। কিন্তু তাতেও সুরাহা বিশেষ হয়নি।
মিয়া জানান, তিনি যেন কোম্পানির বোঝা হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কারো কিছু করার ছিল না। ধীরে ধীরে নিজের মাটি শক্ত করেন মিয়া। কারণ ছোট থেকেই নানা বৈষম্যে অভ্যস্ত সোশ্যাল মিডিয়া স্টার। লেবাননে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা মিয়ার। নিজের পরিবারে নাকি তিনি সবচেয়ে কালো ছিলেন। স্কুলেও এ নিয়ে কথা শুনতে হতো। ধীরে ধীরে সমস্ত বৈষম্য, ঘৃণা কাটিয়ে ওঠেন মিয়া। এখন আবার নিজের মতো বাঁচতে শুরু করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।