লাইফস্টাইল ডেস্ক : হাত বাড়ালেই এখন প্রযুক্তি চলে আসে হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তি সবসময়ই ইতিবাচক; যতক্ষণ পর্যন্ত তা দুর্বৃত্তদের হাতে পড়ে অপব্যাবহারের শিকার হচ্ছে। এই ভয়ে সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে সরিয়ে রাখাও কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আজকের যুগে সেটা অবাস্তব বিষয়।
কিন্তু আপনার অগোচরে সবের হাত ধরেই আবার শিশু বা কিশোর বয়স পৌঁছে যাচ্ছে প র্ন সাইটের দিকেও। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ক্রমশ শিকার হচ্ছে তার। কেউ বা সরাসরি অংশ নিচ্ছে চাইল্ড প র্নোগ্রাফিতে!
সারা দিনের ব্যস্ততা ও কাজকর্মের মাঝে সন্তানের সব গতিবিধি ও কম্পিউটার বা মোবাইলে খুটখুটের প্রতি নজর দিতে পারেন না অনেক অভিভাবকই। সেই সুযোগটাও অনেক সময়ই কাজে লাগায় সন্তান। এমনিতেই বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর শারীরিক নানা পরিবর্তনের সঙ্গে মানসিক পরিবর্তনের শিকার হয় কিশোর-কিশোরীরা। আর তখনই প র্নো গ্রাফির নেশার শিকার হতেই পারে তারা। কখনও নিছকই কৌতূহলের বশে আবার কখনও নিজের অজান্তেই তারা প র্নের দুনিয়ায় ডুব দেয়।
আপনার চোখের সামনে থাকাকালীন তো কিছুটা খেয়াল রাখতেই পারছেন, কিন্তু যখন চোখের আড়ালে থাকছে সন্তান, তখন? ‘চাইল্ড প র্নোগ্রাফি’ সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ হলেও স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের সৌজন্য সে সবের শিকার হচ্ছে না তো সন্তান? অকারণ ভয় পেয়ে বা শাসন করে কিন্তু এই অভ্যাস দূর করা যাবে না। তার চেয়ে কিছু কৌশল অবলম্বন করে প র্নগ্রাফি থেকে দূরে রাখতে পারেন সন্তানকে।
► সবসময় তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখুন। অভিভাবকদের মধ্যে অন্তত কেউ এক জন এতটাই সহজ হয়ে মিশুন, যাতে বাইরে থেকে কিছু শুনে এলে বা বন্ধুদের থেকে কিছু জানলে তা সে জানাতে পারে আপনাদের।
►প র্নগ্রাফি কী, এই নেশা কেন ক্ষতি করতে পারে, কেনই বা প র্নোগ্রাফিতে শিশুদের অংশ নেওয়া সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ- এসব কথা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনোর পর থেকেই গল্পের ছলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
► আপনার আড়ালে সে এমন কোনো নেশার কবলে পড়ছে কি না, তা জানাও খুব জরুরি। গুগলে ‘চাইন্ড প র্নোগ্রাফি’ টাইপ করলে, নিষিদ্ধ এই বিষয়ের প্রতি সচেতন করে গুগল। তাই সন্তান যে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে, তার দিকেও খেয়াল রাখাও অভিভাবক হিসাবে আপনার দায়িত্ব। আজকাল বেশ কিছু মোবাইল সেট ও অ্যাপের প্রি-ইনস্টল ফিল্টার থাকে। এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো যায় মোবাইলে।
► ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে সকলেই জানেন, এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। সন্তান আলাদা কোনো পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে চাইলে সচেতন হোন। তার ব্যক্তিগত বোধকে সম্মান দেখাতে গিয়ে অনেক সময় তাদেরই ক্ষতি করে ফেলি আমরা। মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময়ও যাতে খুব একটা গোপনীয়তা তারা অবলম্বন করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
► নজরদারি করুন। তবে তাকে অবিশ্বাস করছেন তা বুঝতে দেবেন না। বরং তার পাশের সঙ্গী, বন্ধু ও মেলামেশার পরিসরের সকলকেই কমবেশি চিনে রাখুন। কাউকে ক্ষতিকারক মনে হলে, তার সম্পর্কে সচেতন করুন সন্তানকে। প্রয়োজনে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ান।
► সন্তানের মুখে হঠাৎই কোনো খারাপ শব্দ শুনলে তা সে কোথা থেকে শিখল তা জানতে চান, শাসন নয়, বন্ধুত্বই এই কৌশলের অন্যতম চাবিকাঠি।
► নিজেরাও সন্তানের সামনে প র্ন ছবি বা ভিডিও নিয়ে আগ্রহ দেখানো বা আলোচনার বিষয় থেকে দূরে থাকুন। কোনোভাবে সন্তান এই নেশার কবলে পড়েছে বুঝতে পারলে আর দেরি করবেন না। দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।