বিনোদন ডেস্ক : ছোটবেলায় সহ্য করেছেন অনেক অত্যাচার! উরফি জাভেদের জীবনের কথা শুনলে গা শিউরে উঠবে অনেকেরই। বর্তমানে স্টাইল আইকন উরফির বড় হয়ে ওঠা একেবারেই স্বাভাবিক ছিল না। পোশাক নিয়ে সবসময়ই নানান কথা শুনতে হয়েছে তাকে।
এখন অবশ্য কোনো কথাই গায়ে লাগান না উরফি। কিন্তু ছোটবেলায় রাস্তাটা এত সহজ ছিল না। বাড়ির লোক ও বাবার কাছে মারও খেয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন সেসব কথা। লখনৌতে বড় হয়ে ওঠা উরফি ১৭ বছরেই দিল্লি পালিয়ে এসেছিলেন মুক্তির খোঁজে!
উরফি বলেন, “শুধু শারীরিকভাবে নয় বরং মানসিকভাবেও নানান অত্যাচার সহ্য করেছি। নির্দিষ্ট ধাঁচের বাইরে পোশাক পরা আমার বারণ ছিল। আমি তো আত্মহত্যা করতেও চেয়েছিলাম।”
কিন্তু এসবের কারণ কি? উত্তরে উরফি বলেন, “আমার নীল টপ পড়া একটা ছবি পর্ণসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। ১৫ বছর বয়েসে এইসব দেখেছি আমি। আমার আশেপাশের মানুষজনের সঙ্গে আমার বাবাও আমায় পর্ণস্টার বলেছিল।”
এমনকি বাবার মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন উরফি। কিন্তু তারপরেও মুখ ফসকে কিছুই বলেননি তিনি। যদিও তখন তার পোশাক নিয়ে কোনো বিতর্কই সৃষ্টি হয়নি। আর পাঁচজনের মতই সাধারণ জীবনযাপন করতেন উরফি। মারের ভয়ে মুখ ফুটে কিছুই বলা সম্ভব হয়নি তার। শুধু এটুকুই বুঝতে পারেননি, যেখানে তিনি নিজেই ভিকটিম, সেখানে মার খাচ্ছেন কেন?
নিজের বর্তমান ফ্যাশনের কারণে সবসময়ই শিরোনামে থাকেন উরফি জাভেদ। নিত্যনতুন হাজির হন অদ্ভুত আর খোলামেলা পোশাকে। তাই শুনতে হয় অনেক কটুক্তি। তবে মানুষের নেতিবাচক মন্তব্য আজ আর গায়ে লাগান না তিনি। বরং নিজের সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে সবাইকে চুপ করিয়ে দেন এক নিমেষে।
সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।