বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে কয়েক মাস আগেই। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারই বসেছেন সমিতির চেয়ারে। প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সে কারণেই বোধহয় নিপুণের ওপর থেকে ক্ষোভ যাচ্ছেই না জায়েদ খানের। যার প্রমাণ মিলল আবারও।
চিত্রনায়িকা নিপুণের ৪০তম জন্মদিন শুক্রবার। ১৯৮৪ সালের ৯ জুন এই নায়িকার জন্ম হয়েছিল কুমিল্লায়। বিশেষ এ দিনে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে নিপুণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আরেক চিত্রনায়িকা ও শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূর। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে নিপুণকে খোঁচা দিয়েছেন জায়েদ খান।
চিত্রনায়িকা শাহনূর তার পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আজকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের শুভ জন্মদিন। তোমার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা এবং দোয়া রইল। সব সময় ভালো থেকো, সুস্থ থেকো। আবারও শুভ জন্মদিন।’
এই পোস্টের নিচে শাহনূরের উদ্দেশ্যে নিপুণকে খোঁচা দিয়ে জায়েদ খানের মন্তব্য, ‘একজন অনির্বাচিত মানুষ ভোটে পাস না করে জোর করে চেয়ারে বসে আছে, সর্বোচ্চ আদালতে মামলা চলমান। আপনার মত শিল্পী তাকে সাধারণ সম্পাদক পদবি দিয়ে যাচ্ছেন। এরপরও নীতি বাক্য ছাড়বেন ও ভালো ভালো উপদেশ দেবেন। সত্যিকারে যে সততা আর নীতির মধ্যে আপনারা নাই, এটি বুঝতে পারছেন তো?’
অর্থাৎ, উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের পরও এখনো জায়েদ খান মনে করেন যে, নিপুণ আক্তার জোর করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে বসে আছেন। সুযোগ পেলে সেই ক্ষোভই ঝাড়েন অভিনেতা। ঝাড়লেন নিপুণের জন্মদিনেও।
তবে শুধু শাহনূরের পোস্টেই নয়, নিপুণকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের ফেসবুক পোস্টেও একই মন্তব্য করেছেন জায়েদ খান। যদিও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিপুণ, শাহনূর বা অঞ্জনা জায়েদ খানের মন্তব্যের কোনো জবাব দেননি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে শিল্পীদের ভোটে জায়েদ খানই জিতেছিলেন সাধারণ সম্পাদক পদে। তবে একই পদে লড়ে হেরে যাওয়া নিপুণ আক্তার পরে জায়েদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ ও টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেন।
নিপুণের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচনী আপিল বোর্ড কর্তৃক বাতিল হয়ে যায় জায়েদের প্রার্থিতা। একইসঙ্গে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করা হয় নিপুণকে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জায়েদ খান। দীর্ঘ কয়েক মাস সেই মামলা চলার পর গত নভেম্বরে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ নির্বাচনী আপিল বোর্ডের দেয়া সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। চেয়ার পাকা হয় নিপুণের। অন্যদিকে, ভোটে জিতেও চেয়ারে বসা হয়নি জায়েদ খানের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।