জুমবাংলা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬১ জনকে পৃথক মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা সংক্ষিপ্ত বিচারে এসব সাজা দেন বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক চিঠিতে জানা গেছে।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারের আওতায় যাদের সাজা দেয়া হয় তারা হলেন- বগুড়ার সোনাতলার আমিনুর রহমানের পুত্র রাশেদ। বগুড়া-১ আসনে ভোটে অনিয়ম করায় তাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানা করেছেন প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিন হাসান। আরপিও অনুযায়ী রাশেদকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও সাত বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে মোট ৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর, সরাইলে দু’জনকে ও আশুগঞ্জে একজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই অভিযোগে আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
তার মধ্যে পৌর এলাকার মধ্যপাড়া শান্তিবাগের শাকিকুল ইসলাম অনন্ত, একই এলাকার মো. ইউসুফ, বিজয়নগরের সাটিরপাড়ার আজিজুল ভূঁইয়া ও একই উপজেলার নোয়াগাঁওয়ের সাব্বির আহমেদকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে মাহতাব হোসেন রুদ্র (২২) নামে একজনকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। একই ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের বড় পানছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ছদ্মবেশে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহিদ হাসান (১৯), শওকত মিয়া (২১), হালিম (২১) ও ফুল মিয়া (২১)। তাদের সবার বাড়ি পানছড়ির ফাতেমানগর। এসব অভিযুক্তদের নানা অভিযোগে সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।