জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র ছাড়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা বা তাদের সমস্যার সমাধান হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে অবিলম্বে রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণ অধৈর্য হয়ে পড়বে। তখন বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নামতে দ্বিধা করবে না।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে মহান মে দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহ রেলওয়ে কৃষ্ণচড়া চত্বরে জেলা শ্রমিকদল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রিন্স বলেন, একটি দল অহেতুক জাতীয় নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করছে। তারা বিএনপির ছত্রছায়ায় রাজনীতি করলেও এখন বিএনপিকে ল্যাং মারতে সচেষ্ট।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জনগণ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর আন্দোলন বা জুলাই-আগস্টে রক্ত দেয় নাই। বিএনপিকে ল্যাং মারতে গিয়ে গণতন্ত্রের ক্ষতি করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। বিএনপিকে ল্যাং মারতে গিয়ে নিজেদের ঠ্যাং না ভেঙে যায়।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি শ্রমিক, কৃষক ও মেহনতিবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি মেহনতি মানুষের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে রাজনীতি করে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান নিজেকে শ্রমিক পরিচয় দিতে গর্ব করতেন। সে পরিচয়ে আমরাও গর্বিত। অমরা একজন শ্রমিকের প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কর্মী। আমরাও শ্রমিক।
জনগণের রয়ে বিএনপি সরকার পরিচালনার সুযোগ পেলে সর্বনিম্ন মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ শ্রমিকের অধিকার বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।
জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিদুল হক মোহনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম ও সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এসময় বিএনপি ও শ্রমিকদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশের পর একটি র্যালি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কৃষ্ণচুরা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে একই মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।