নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ছিল প্রত্যাশিত, তবু সেটি মেনে নিতে পারছেন না লিওনেল মেসি। অল স্টার ম্যাচে অংশ না নেওয়ার শাস্তিস্বরূপ এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ইন্টার মায়ামির অংশীদার ও ব্যবস্থাপনা স্বত্বাধিকারী হোর্হে মাস জানালেন, নিষেধাজ্ঞা শুধু হতাশাই নয়, ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে।
মেসির পাশাপাশি নিষিদ্ধ হয়েছেন তার ক্লাব সতীর্থ জর্দি আলবাও। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) অল স্টার দলে ডাক পেয়েও মেক্সিকোর লিগা এমএক্স অল স্টারদের বিপক্ষে না খেলায়, নিয়ম অনুযায়ী এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন তারা। ফলে বাংলাদেশ সময় রবিবার ভোরে সিনসিনাটির বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন না ইন্টার মায়ামির এই দুই অভিজ্ঞ তারকা।
সমর্থক ও গণমাধ্যমের ভোটে অল স্টার দলে জায়গা করে নেন মেসি ও আলবা। তবে ইনজুরি না থাকা সত্ত্বেও ম্যাচে না খেলায় শাস্তির মুখোমুখি হন তারা। এমএলএস নিয়ম অনুযায়ী, অল স্টার ম্যাচ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হয় লিগ কর্তৃপক্ষের। তা না করলে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা অবশ্যম্ভাবী।
ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো দাবি করেছিলেন, টানা খেলার কারণে ক্লান্তি ও অবসাদ থেকেই অল স্টার ম্যাচে অংশ নেননি মেসি ও আলবা। তবে সেই ব্যাখ্যা গ্রাহ্য করেনি লিগ কর্তৃপক্ষ।
হোর্হে মাস জানান, শাস্তির খবর শুনে হতবাক হয়েছেন মেসি, ‘সে আজ খুব হতাশ এবং রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এটা প্রত্যাশিতই। আশা করি, এর নেতিবাচক দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে না। তবে ফুটবলারদের মানসিকতায় এই ঘটনার প্রভাব পড়বে কিনা? অবশ্যই পড়বে।’
মাসের মতে, একটি প্রদর্শনী ম্যাচে অংশ না নেওয়ার কারণে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়াটা মেসি ও আলবার কাছে সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা।
‘তারা প্রতিযোগিতা করতে চায়, খেলতে চায় এবং দলকে জেতাতে চায়। তারা জানে সামনে ম্যাচটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাদের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক—কারণ তারা বুঝতেই পারছে না যে একটি প্রীতি ম্যাচে না খেললে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আসবে।’
হোর্হে মাস আরও দাবি করেন, মেসি ও আলবা অল স্টার ম্যাচে খেলবেন না—এই সিদ্ধান্ত আগেই ক্লাবের পক্ষ থেকে লিগ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।
তবে তারা লিগের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছিল কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
লিগের নিয়মের কঠোরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মাস, ‘আইন তো আইনই। কিন্তু আমার মনে হয়, এই ক্ষেত্রে শাস্তিটা বেশ কঠোর। মেসি ও আলবা বিষয়টা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি। আইনটি হয়তো পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।