বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতার ৭১তম জন্মদিন আজ মঙ্গলবার। ১৯৫৩ সালের এদিনে বাগেরহাট জেলায় জন্ম ববিতার। তার আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। কিন্তু সিনেমায় আসার পর পরিচিতি পেয়েছেন ববিতা নামে। ববিতার একমাত্র ছেলে অনিক বেশ কয়েক বছর ধরেই কানাডায় থাকেন। পড়াশোনা শেষে থিতু হয়েছেন সেখানেই।
গত কয়েক বছর নিজের জন্মদিনটা ছেলের সঙ্গেই কাটিয়েছেন ববিতা। তবে এবার অসুস্থতার কারণে ছেলের কাছে যাওয়া হয়নি তার। ক’দিন আগেই করোনায় আক্রান্ত হন বরেণ্য এই অভিনেত্রী। চারদিন হাসপাতালে থাকার পর বর্তমানে বাসায় বিশ্রামে আছেন। তাই ইচ্ছা থাকলেও বিশেষ দিনটি ছেলের সঙ্গে উদযাপন করা হয়নি তার।
ববিতা কথায়, ‘এখন করোনা নেই। তবে শরীরটা খুব দুর্বল। বাসাতেই বিশ্রামে আছি। এই পরিস্থিতিতে দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই অনিকের কাছে যেতে পারিনি। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর ছেলের কাছে যাব। শরীরের এই অবস্থায় তো কোনো আয়োজন সম্ভব নয়। তাই বাসাতেই কাটবে দিনটা।’
কবে ছেলের কাছে যাবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ফ্লাইট পিছিয়ে দিয়েছি। আশা করছি, দিন দশেকের মধ্যে আবার উড়াল দিতে পারব। তবে সবাই বলছেন, “তুমি শারীরিকভাবে এখনো দুর্বল। এর মধ্যে এত লম্বা সময়ের ভ্রমণ করা ঠিক হবে না। ছেলে ওখানে একা থাকে, চাকরি করে। গিয়ে আবার যদি অসুস্থ হয়ে পড়ো, তাহলে কে দেখবে?” একেবারে সুস্থ হয়ে তারপর যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সবাই।’
বিশেষ এদিনে নায়িকার ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘নিয়মিত ইবাদত করি, প্রতিদিন একবার মৃত্যুর কথা ভাবি। আমার খুব ইচ্ছা, আমাকে যেন বাবার কবরে সমাহিত করা হয়। আমার আব্বা বনানী কবরস্থানে ঘুমিয়ে আছেন।’
জীবন নিয়ে উপলব্ধি কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে ববিতা বলেন, ‘যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না। তবে এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে।
ছবিটি জুম করে দেখুন, দুটি ছবির মধ্যে ৩টি পার্থক্য রয়েছে খুঁজে বের করুন
অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। গত বছর আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে “ববিতা ডে” ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদ্যাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ-বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারও বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।