আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের লোকসভায় কংগ্রেস নেত্রী ও সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আজকের দিনটি ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দিনে ভারতের আলোচিত যুদ্ধের জয় এসেছিল। বাংলাদেশের মানুষের পাশে যে সময় কেউ দাঁড়ায়নি, সে সময় পাশে ছিল ভারতের জনগণ।’
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) লোকসভার অধিবেশনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এসব কথা বলেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের, আমাদের বাঙালি ভাই-বোনদের কথা দুনিয়ায় কেউ শোনেনি। ওই সময় ভারত একলা দাঁড়িয়েছিল। পুরো দুনিয়ায় কেউ (ভারতের) কথা শোনেনি। কিন্তু সে সময়, ভারতের মানুষ দেশের সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছিল। দেশের নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়েছিল। দেশের মানুষ ছাড়া ভারতের ওই জয় সম্ভব ছিল না।’
এর আগে আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি। মোদি লেখেন, আজ বিজয় দিবসে আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সৈন্যদের সাহস ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং তাদের অদম্য চেতনার প্রতি রইলো শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে ও আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।
নরেন্দ্র মোদির এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
লোকসভায় আজ সোমবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘সভাপতি মহোদয়া, এটা অত্যন্ত খুশির বিষয় যে আপনার অবশেষে মনে পড়েছে, আজ বিজয় দিবস।’ ভারতের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরণ করেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। সেই কঠিন সময়ে তিনি সাহস দেখিয়েছিলেন এবং এমনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যাতে জয় সুনিশ্চিত হয়। সে সময় যে লড়াই হয়েছিল, তা ছিল নীতির লড়াই, গণতন্ত্রের নীতি।’
ভারতের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে ঢাকায় নিয়াজীর আত্মসমর্পণের ছবি সরানোর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে সেই ঐতিহাসিক ছবি সরানো হয়েছে, যেখানে দেখা যেত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।