জুমবাংলা ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রাণ গেছে শিক্ষার্থী ইসমাঈল হোসেন রাব্বির। যার লাশ কাঁধে নিয়ে বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমেছিল দুই বোন। আর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা।
বুলেটবিদ্ধ ভাইয়ের মরদেহ, দুই বোনের কাঁধে। কান্না নয়, হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে মিছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন তখন অন্তিম মুহূর্তে, ৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফ্যাসিবাদীদের গুলিতে নিহত হন ইসমাঈল হোসেন রাব্বি।
পরদিন শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে, ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে একমাত্র ভাই রাব্বির মরদেহ বের করেন দুই বোন। তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজনের মরদেহ নিয়ে মিছিল করে ছাত্র-জনতা।
রাব্বির শোকে পাগলপ্রায় তার মা আসমা বেগম। ছেলেকে আর কোনোদিন দেখতে পাবেন না, কী করে এই সত্য মেনে নেবেন তিনি। আদরের সন্তানের জামা-কাপড় ছুঁয়ে মাঝে মাঝেই প্রলাপ বকছেন।
দুই বোন মীম আক্তার ও মিতু আক্তার জানান, আন্দোলনে নির্ভয়ে বুক পেতে দেশের জন্য জীবন বিলিয়ে দেয়া আবু সাঈদ ও মুগ্ধের ঘটনা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল রাব্বিকে। পরিবারের শত বাধাও আটকাতে পারেনি তাকে।
তার বোন বলেন, শত কষ্ট করে হলেও আমার রাব্বির স্বাদ পূরণ করতাম। ঘর থেকে বের হলে মানুষ বলতো ওই দেখ সাহেবের বাচ্চা বের হইছে। এটা বললে রাব্বি রাগ করত। সে বলত হাত-পা থাকতে যারা গরীব বলে তোরা তো ফকিন্নি, আমি তো ফকিন্নি না।
আরেক বোন বলেন, আমাদের মতো পোড়া কপাল এই দুনিয়ায় কারো নেই।
রাজধানীর সায়েদাবাদে এক রুমে গাদাগাদি করে থাকে, পরিবারটি। বৃদ্ধ ভ্যানচালক বাবা মোহাম্মদ মিরাজের সামান্য আয় এবং বোন ও মায়ের টিউশনির টাকায় চলতো, রাব্বির পড়াশোনা ও সংসার খরচ। রাব্বিকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন ছিল, তাদের।
হত্যাকাণ্ডের দৃষ্ঠান্তমূলক বিচার এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায়, রাব্বির পরিবার। রাব্বির মা পারভীন বেগম বলেন, আমি এ মৃত্যুর বিচার চাই। হাজার হাজার শহিদ মায়ের বুক খালি হয়েছে এদের মৃত্যুর বিচার চাই। অতি শিগগিরই শহিদের খাতায় নাম চাই আমি। সূত্র : চ্যানেল ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।