বিনোদন ডেস্ক : গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে পরীমনি লেখেন, ‘হ্যাপি থার্টিফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে জরুরি আর কিছুই নেই। ’
এরপর রাজের কাছে ফিরেছিলেন। ভক্তরা সুসংবাদ মনে করেছিলেন।
কিন্তু সেটা স্থায়ী হয়নি। এরমধ্যে পরীমনি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন। দুটো ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। যেখানে রক্ত দেখা গেছে। এই রক্তারক্তি কাণ্ডের পর ভক্তরা মনে করছেন আলাদা হয়ে যাচ্ছেন রাজ-পরীমনি।
তবে রাজের বাবা মুসলিম মিয়া তেমনটা মনে করেন না। শরীফুল রাজের বাবা মুসলিম মিয়া বলেন, ‘শুটিং শেষ করে রাজের বাসায় ফিরতে কিছুটা দেরি হয়, যা নিয়ে পরী রাগ করে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়। যার ফলে পরী এমন স্ট্যাটাস দিয়ে থাকতে পারে।’
বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে মুসলিম মিয়া বলেন, ‘পরী এখনো কিছুটা অভিমান করে থাকলেও তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাজ-পরী ও আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আশা করি ওদের দুজনের সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।’
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর পরীমনি জানান, রাজকে তিনি গোপনে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিয়ে করেছেন।
এর পর চলতি বছর ২১ জানুয়ারি হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান এবং ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের আবার বিয়ে হয়। ১০ আগস্ট তাদের সংসারে আসে এক পুত্রসন্তান। সন্তানের নাম রেখেছেন শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। পরীর এটি তৃতীয় বিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।