সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : বৈধ কাগজপত্র না থাকা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে বেসরকারি “মানিকগঞ্জ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল”-এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে বৈধ কোন কাগজপপত্র না থাকলেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুন।
বুধবার দুপুরে পরিচালিত ওই ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুন।
এর আগে, মানিকগঞ্জ শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের পরিবেশ ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন করা হলেও সেটি স্থগিত রেখেছে অধিদপ্তর। ২০ বেডের অনুমতি নিয়ে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইতোপূর্বে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হাসপাতালটির অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে পরিচালিত এই অভিযানে হাসপাতালটির পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি এড়িয়ে চিকিৎসক, নার্স, লোকবল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়। উপেক্ষা করা হয় পরিবেশগত বিষয়টি এবং জণগণ ও রোগীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার। অপরদিকে, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন অফিস থেকে ইতোপূর্বে হাসপাতালটিকে কাগজপত্র নবায়নের জন্য নোটিশ প্রেরণ করেন।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অফিস ও সিভিল সার্জন অফিস থেকে হাসপাতালের বৈধ কাগজপত্র না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও অভিযানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুনকে বলতে শোনা যায়, মানিকগঞ্জের মত জেলায় এরকম একটি হাসপাতাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং এর পরিবেশ খুবই ভালো। এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি রয়েছে। সামান্য কিছু ত্রুটি রয়েছে। আপনারা দ্রুত সেগুলো সমাধান করুন। আমি এটিকে ফলোআপে রাখবো।
অভিযানে হাসপাতালটির অতিরিক্ত রোগী, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ফায়ার লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি এড়িয়ে সামান্য অনিয়মের কথা উল্লেখ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় মাত্র ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় হাসপাতালটিকে। এসময় বিদ্যমান ত্রুটি সংশোধনের জন্য সতর্ক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুন সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।