জুমবাংলা ডেস্ক : শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের উজ্জলতম নক্ষত্র। একাধারে সামাজিক উদ্যোক্তা, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, সংগঠক ও সুশীল সমাজের নেতা। বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেল পুরস্কারজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি। ক্ষুদ্রঋণ নামক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ইউনূস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। সততা, জনগণের প্রতি সাহসী সেবা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে বাস্তববাদী আদর্শবাদের উদাহরণকে স্থায়ী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখায় পান ম্যাগসেসাই পুরস্কার।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠা করেন নাগরিক কমিটি। অন্যান্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময়ে দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে শুরু হয় তার সংগ্রাম। বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। ১৯৭৬ এ প্রতিষ্ঠা করেন গ্রামীণ ব্যাংক। যা বিশ্বে তৈরি করে এক যুগান্তকারী মডেল।
দেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে ২০০৭ সালের এক এগারোতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম এসেছিল। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি তিনি। রাজনীতিতে নামার উদ্যোগ নিলেও ফিরে আসেন মুহাম্মদ ইউনূস। তবে ১৯৯৬ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। বিশ্বখ্যাত এই ব্যক্তি আওয়ামী সরকারের রোষানলের শিকার হন। শ্রম আইন লঙ্ঘনসহ দেশজুড়ে একাধিক মামলা দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রামের সন্তান মুহাম্মদ ইউনূসের জন্ম ১৯৪০ সালের ২৮ জুন। শৈশব কাটান হাটহাজারির কাপ্তাই সড়কের বাথুয়া গ্রামে। চট্টগ্রাম শহরের লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া ইউনূস মেট্রিকুলেশন করেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করা ড. ইউনূস ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬২টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।