নোয়াখালীর মাইজদীতে ফাহিমা সুলতানা মারিয়া (২৪) নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মাইজদীর রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীর মোবাইলে চাঞ্চল্যকর আলামত পেয়েছে পুলিশ।
নোবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর জামাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিকাল চারটার দিকে মেসেঞ্জারে এক বন্ধুকে ভিডিও কলে রেখেই গলায় ফাঁস দেন ফাহিমা। তার মুঠোফোন থেকে এমন আলামত পেয়েছে পুলিশ।
ফাহিমা সুলতানা মারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। তিনি মাইজদীর রশিদ কলোনির একটি ভাড়া বাসায় সহপাঠীদের সাথে থাকতেন।
এটি সাধারণ আত্মহত্যা নাকি প্ররোচনার মাধ্যমে হত্যার ঘটনা- তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে, ঘটনার নেপথ্যে প্রেমঘটিত কারণ থাকতে পারে ধারণা তাদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। রশিদ কলোনির হোসেন টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় সহপাঠীদের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন ফাহিমা। বিকেল থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার আত্মীয়রা বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
সহপাঠীরা জানান, পূজার ছুটিতে সবাই বাড়ি গেলেও ফাহিমা মেসে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়। শুক্রবার বিকেলে একটি অনলাইন ক্লাসে অংশ নেননি এবং ফোনেও সাড়া দেননি। অসুস্থতার কারণে তিনি নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। প্রথমে সহপাঠীরা ভেবেছিলেন তিনি ঘুমচ্ছেন। পরে রাত ৮টার দিকে তার মৃত্যুর খবর পান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সকালে বাসায় যাওয়ার কথা বললে ফাহিমা চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা জানান। বিকাল থেকে তার মোবাইল ফোনে বারবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। এতে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে কয়েকজন বন্ধুকে বাসায় পাঠানো হলে দেখা যায় ভেতর থেকে দরজা লক করা। এরপর দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে জানালার সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ফাহিমার মরদেহ দেখতে পান তারা।
সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বলেন, আমরা গিয়ে ওই ছাত্রীকে জানালার সঙ্গে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। বাকিটা ময়নাতদন্ত করলে বুঝা যাবে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় তার মুঠোফোনে ভিডিও কল চালু ছিল। তবে, থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের না করে ফাহিমার পরিবার তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশ্যে নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।