জুম-বাংলা ডেস্ক : নোবেল পদকের সামনের দিকে খোদাই করা আছে নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের প্রোফাইল ছবি। এই ছবিটিতে নোবেলকে খুবই মার্জিত এবং চিন্তাশীল একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই প্রতিকৃতির নিচে খোদাই করা থাকে আলফ্রেড নোবেলের নাম এবং তাঁর জন্ম-মৃত্যুর সাল।
কিন্তু নোবেল পদকের উল্টোপিঠে কী আছে, তা কি আপনি জানেন?
নোবেল পুরস্কারের উল্টোপিঠে বিভিন্ন প্রতীকী চিত্র খোদাই করা থাকে।
এগুলো পুরস্কারের বিভাগ অনুযায়ী আলাদা হয়। প্রতিটি চিত্র মানবতার উন্নতি, শান্তি এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানকে প্রতিফলিত করে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের নোবেল পদেকেরে উল্টোপিঠে খোদায় করা দৃশ্যে দেখা যায়, এক যুবক একজন মেয়েকে জ্ঞান-বিজ্ঞান দেবী হাইজিয়ার কাছে নিয়ে যাচ্ছে। হাইজিয়া তার হাতে একটি পানির পাত্র ধরে রেখেছেন, যা রোগ নিরাময়ের প্রতীক।
এই চিত্রটি চিকিৎসাবিদ্যার মাধ্যমে মানবতার সেবা এবং রোগমুক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরস্কারের উল্টোপিঠে দিকে একটি পুরুষের প্রতীক আছে।, যিনি প্রাকৃতিক দৃশ্যের উপর ওপর থেকে একটি পর্দা সরিয়ে দিচ্ছেন, যেন প্রাকৃতিক রহস্য উন্মোচন করা হচ্ছে। এটি পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রকৃতির জটিলতাকে উন্মোচনের প্রতীক।
রসায়নের নোবেল পদকের উল্টোপিঠে ল্যাবরটরিতে গবেষণারত একজন গবেষককে দেখা যায়। এটি রসায়নবিদ্যার মাধ্যমে নতুন উপাদান এবং বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের প্রতীক হিসেবে খোদাই করা হয়েছে। সাহিত্যের নোবেল পদকের উল্টোপিঠে গ্রিক মিউজ ক্যালিওপির চিত্র খোদাই করা হয়েছে। ক্যালিওপি ছিলেন মহাকাব্যের দেবী, যা সাহিত্যের নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতাকে প্রতিফলিত করে।
শান্তির নোবেল পদকের পেছনে খোদাই করা আছে দুই ব্যক্তির। তারা করমর্দন করছে, যা শান্তি ও সহযোগিতার প্রতীক।
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ১৯৬৮ সালে চালু হয়। এই পদকের পেছনে একটি খেজুর গাছের ডাল এবং একটি প্রতীকী রূপে উন্নয়নের চিহ্ন খোদাই করা হয়েছে। এটি বিশ্ব অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
সূত্র: নোবেল প্রাইজ ডট অর্গ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।