জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলা নববর্ষ এলেই নতুন পোশাক কেনার হিড়িক পড়ে যায়। পাঞ্জাবি, শাড়ি, ফতুয়া—বাজারে ঢল নামে উৎসুক ক্রেতার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নববর্ষ মানেই কি শুধুই নতুন জামা? নাকি এই উৎসবের পেছনে রয়েছে আরও গভীর কিছু—সংস্কৃতি, ইতিহাস, আর বাঙালিয়ানার আত্মপ্রকাশ?
Table of Contents
বাজার নির্ভর বৈশাখ: ফ্যাশনের উৎসব?
বিগত এক দশকে পহেলা বৈশাখ হয়ে উঠেছে বড় এক বাণিজ্যিক উৎসব। লাখ লাখ টাকার পোশাক বিক্রি হয়। হাই-এন্ড ব্র্যান্ড থেকে ফুটপাতের দোকান—সবার লক্ষ্য একটাই: নতুন জামা। এমনকি অনেক সময় দেখা যায়, পোশাকের চাপেই অনেকে উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না।
বাঙালিয়ানা মানে কি জামা, না অনুভব?
বাঙালিয়ানা মানে শুধু পোশাক নয়, বরং চিন্তা, আচরণ, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে ধারণ করা। পূর্বপুরুষদের আদর্শ, গানের সুর, পিঠার ঘ্রাণ—এসবই নববর্ষের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নতুন জামা থাকুক বা না থাকুক, অন্তরের আনন্দই নববর্ষের মূল সুর।
যেখানে নতুন জামা নেই, কিন্তু উৎসব আছে
গ্রামের অনেক ঘরে নতুন জামা নেই, কিন্তু ঘরজুড়ে পিঠার ঘ্রাণ আছে, উঠানে বাউল গান বাজে, শিশুরা খেলা করে, বড়রা গল্প করেন। সেখানেই তো নববর্ষের প্রাণ! শহরের ব্যস্ত জীবনে, ব্র্যান্ডের ব্যাগ হাতে যারা হাঁটে, তারা অনেক সময় এই জীবন্ত সংস্কৃতি থেকে অনেক দূরে থাকেন।
বাজার বনাম উৎসব: কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন?
- নতুন জামা কেনা হোক, তবে তা যেন প্রতিযোগিতা না হয়
- বাচ্চাদের শেখানো হোক উৎসবের মূল মর্ম
- পরিবারে সময় কাটানো হোক প্রাধান্য
- লোকসংস্কৃতি ও স্থানীয় খাবার হোক উৎসবের মুখ্য অংশ
নববর্ষ আমাদের ঐতিহ্যের দিন। নতুন জামা হোক আনন্দের অংশ, কিন্তু আনন্দের মূল হোক বাঙালিয়ানা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।