Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড: বাংলাদেশ ও ভারতে দাম, স্পেসিফিকেশন এবং কেন এটি কিনবেন?
    প্রযুক্তি ডেস্ক
    laptop প্রযুক্তি

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড: বাংলাদেশ ও ভারতে দাম, স্পেসিফিকেশন এবং কেন এটি কিনবেন?

    প্রযুক্তি ডেস্কMynul Islam NadimAugust 2, 202513 Mins Read
    Advertisement

    আপনার পকেটে পুরো একটি ল্যাপটপ আর ট্যাবলেটের শক্তি? কল্পনা করুন, সকালে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন তৈরি করছেন ল্যাপটপ মোডে, বিকেলে সোফায় হেলান দিয়ে মুভি দেখছেন ট্যাবলেটের মতো বড় স্ক্রিনে, আর রাতে বন্ধুদের সাথে ভিডিও কল করছেন স্ট্যান্ড মোডে – সবই একই ডিভাইসে! নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড এই স্বপ্নকেই বাস্তবে এনেছে, একটি ডিভাইসে মিলিয়ে দিয়েছে ল্যাপটপের পারফরম্যান্স আর ট্যাবলেটের বহুমুখিতা। ফোল্ডেবল টেকনোলজির এই অভিনব যুগে, নোকিয়ার এই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসটি বাংলাদেশ ও ভারতের টেক এনথুসিয়াস্টদের মধ্যে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কিন্তু দাম কত? সত্যিই কি পারফর্ম করে? প্রতিদিনের কাজে কতটা উপযোগী? এই গাইডে, নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড-এর বাংলাদেশ ও ভারতে সর্বশেষ দাম, বিস্তারিত স্পেসিফিকেশন, আসল ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা, প্রতিযোগীদের সাথে তুলনামূলক বিশ্লেষণ এবং আপনার জন্য সঠিক কেনা-না-কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব তথ্য পাবেন।

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড

    বাংলাদেশে দাম ও বাজার বিশ্লেষণ 

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নোকিয়ার সরাসরি চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে না। ফলে, মূলত নির্ভর করতে হয় ইমপোর্টেড বা গ্রে মার্কেটের উপর।

    • অফিসিয়াল/ট্রাস্টেড সোর্সের দাম (ইমপোর্টেড): বাংলাদেশের বড় ও আস্থাযোগ্য অনলাইন রিটেইলার বা ইলেকট্রনিক্স শোরেগুলোতে (যেমন: প্রাইসবিডি, রিভিউ বিডি তে লিস্টিং অনুযায়ী) নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড-এর বর্তমান দাম ৳ ২,১০,০০০ থেকে ৳ ২,৩০,০০০ (বাংলাদেশি টাকা) এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এই দাম সাধারণত ডিভাইসের আমদানি শুল্ক, পরিবহন খরচ এবং বিক্রেতার মুনাফা অন্তর্ভুক্ত করে।
    • গ্রে মার্কেট/আনঅফিসিয়াল দাম: ছোট দোকান বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে (যেমন: কিছু ফেসবুক গ্রুপ, ডারাজ ইত্যাদি) দাম কিছুটা কমে ৳ ১,৯৫,০০০ থেকে ৳ ২,০৫,০০০-এর মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। তবে, সতর্কতা: গ্রে মার্কেটে ওয়ারেন্টি সমস্যা, ভুয়া বা রিফার্বিশড পণ্য পাওয়ার ঝুঁকি, এবং রেসেলার সাপোর্টের অভাব থাকে। ক্রয় করার আগে বিক্রেতার রেপুটেশন এবং ওয়ারেন্টি শর্তাবলী ভালো করে যাচাই করা অপরিহার্য।
    • মার্কেট ট্রেন্ড ও প্রাপ্যতা: ফোল্ডেবল ডিভাইসের মার্কেট বাংলাদেশে এখনও নিশ্চিত নয়। উচ্চ মূল্যই প্রধান বাধা। তবে, প্রিমিয়াম সেগমেন্টের ব্যবহারকারী এবং প্রযুক্তি পাগলরা এই উদ্ভাবনী ডিভাইসের প্রতি আগ্রহী। প্রাপ্যতা সীমিত, সাধারণত ঢাকা বা চট্টগ্রামের বড় ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বা নির্দিষ্ট অনলাইন স্টোরেই পাওয়া যায়।
    • আমদানি শুল্কের প্রভাব: বাংলাদেশে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং ল্যাপটপের উপর উল্লেখযোগ্য আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট প্রযোজ্য। নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড যেহেতু একটি হাইব্রিড ডিভাইস, এর শুল্ক নির্ধারণ কিছুটা জটিল হতে পারে। এটি সাধারণত উচ্চ শুল্কের ক্যাটাগরিতেই পড়ে, যা এর খুচরা মূল্যকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেয়। এই উচ্চ খরচই বাংলাদেশের সাধারণ ভোক্তার নাগালের বাইরে নিয়ে যায় এই ডিভাইসটিকে। বাজারে এর স্থিতিশীলতা আনতে আনুষ্ঠানিক লঞ্চ এবং স্থানীয় সমর্থন খুবই জরুরি। বিশ্ববাজারের প্রভাব বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারে কতটা, তা নিয়ে আরও পড়ুন আমাদের বিশ্লেষণে।

    ভারতে দাম

    ভারতে নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড আনুষ্ঠানিকভাবে নোকিয়া দ্বারা লঞ্চ হয়েছে এবং প্রধান অনলাইন রিটেইলারদের মাধ্যমে সহজলভ্য।

    • অফিসিয়াল খুচরা মূল্য (MRP): নোকিয়া ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট এবং ফ্ল্যাগশিপ স্টোর অনুযায়ী, নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড-এর অফিসিয়াল মূল্য ₹ ১,২৪,৯৯৯ (ভারতীয় রুপি)। এটি ডিভাইসের বেস মডেলের মূল্য (সাধারণত 16GB RAM + 512GB Storage কনফিগারেশন)।
    • প্রধান ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে দাম:
      • অ্যামাজন ইন্ডিয়া: ₹ ১,২৪,৯৯৯ (নোকিয়া অফিসিয়াল স্টোরের মাধ্যমে, কখনো কখনো ব্যাংক অফারসহ ছাড় পাওয়া যায়)।
      • ফ্লিপকার্ট: ₹ ১,২৪,৯৯৯ (নোকিয়া ডিজিটাল স্টোরের মাধ্যমে)।
    • বাংলাদেশের দামের সাথে তুলনা: ভারতীয় রুপি ৳ ১.৩ (প্রায়) হিসেবে ধরে, ভারতীয় মূল্য ₹ ১,২৪,৯৯৯ প্রায় ৳ ১,৬২,৫০০ (বাংলাদেশি টাকা) হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে ইমপোর্ট খরচ, শুল্ক ও মুনাফা যোগ হয়ে দাম দাঁড়ায় ৳ ২,১০,০০০+ যা ভারতীয় মূল্যের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে (প্রায় ৳ ৪৭,৫০০ বা ২৯%+) বেশি। এই পার্থক্যের মূল কারণ বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক লঞ্চ না থাকা এবং উচ্চ আমদানি শুল্ক।

    বৈশ্বিক বাজারে দাম

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড একটি প্রিমিয়াম পজিশনিংয়ের ডিভাইস, বৈশ্বিক দামও সেই অনুযায়ী।

    • আনুষ্ঠানিক/গ্লোবাল মূল্য:
      • যুক্তরাষ্ট্র (USA): $১,৪৯৯ (USD) – এই মূল্যে সাধারণত 16GB RAM + 512GB Storage কনফিগারেশন বিক্রি হয়।
      • যুক্তরাজ্য (UK): £১,৩৯৯ (GBP)।
      • ইউরোপ (EU): €১,৫৯৯ (EUR) (দেশভেদে কিছুটা ওঠানামা হতে পারে)।
      • সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE): AED ৫,৪৯৯ (প্রায়)।
      • চীন (China): আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে সরাসরি বিক্রি নাও হতে পারে, তবে ইমপোর্টের মাধ্যমে প্রায় ¥১১,০০০ – ¥১২,০০০ (CNY) এর মধ্যে পাওয়া যায়।
    • মূল্য ধারণা: বৈশ্বিকভাবে নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড সিরিজের (যার মূল্য $১,৭৯৯+) সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। এর মূল্য তাই উচ্চ-প্রান্তের স্মার্টফোন বা এন্ট্রি-লেভেল আল্ট্রাবুকের কাছাকাছি, কিন্তু একটি ইউনিক হাইব্রিড অভিজ্ঞতা দেয়।
    • লঞ্চ বনাম বর্তমান মূল্য ও ডিসকাউন্ট: প্রাথমিক লঞ্চের পর থেকে দামে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়নি, যা নোকিয়ার প্রিমিয়াম ইমেজ ধরে রাখার ইচ্ছার নির্দেশ করে। তবে, মৌসুমী বিক্রয় (ব্ল্যাক ফ্রাইডে, প্রাইম ডে ইত্যাদি), ব্যাংক অফার, বা পুরনো স্টক ক্লিয়ারেন্সের সময় সীমিত ছাড় বা বান্ডেল অফার (হেডফোন, কেস ইত্যাদি) পাওয়া যেতে পারে।
    • শীর্ষ বিক্রয় প্ল্যাটফর্ম: অ্যামাজন (বিভিন্ন দেশ), বেস্ট বাই (ইউএসএ), নোকিয়া অফিসিয়াল অনলাইন স্টোর (অনেক দেশে), এবং অন্যান্য বড় ইলেকট্রনিক্স রিটেইলার (যেমন Curry’s PC World – UK, MediaMarkt/Saturn – EU)।

    ফুল স্পেসিফিকেশন ও ফিচার বিশ্লেষণ (৮০০+ শব্দ)

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড শুধু একটি ফোল্ডেবল ডিভাইস নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ উইন্ডোজ অন ল্যাপটপের শক্তি এবং ট্যাবলেটের বহুমুখিতার সমন্বয়। আসুন ডিটেলে যাওয়া যাক:

    1. ডিসপ্লে (আত্মা):
      • মেইন ফোল্ডেবল ডিসপ্লে: বিশাল ১৭.৩-ইঞ্চি 4:3 অ্যাসপেক্ট রেশিও বিশিষ্ট QXGA+ (2560 x 1920 পিক্সেল) প্যানেল। এটি সম্পূর্ণ খুলে একটি ছোট ট্যাবলেটের মতো ব্যবহারযোগ্য স্ক্রিন প্রদান করে, অফিস ডকুমেন্ট, স্প্রেডশীট বা ক্রিয়েটিভ ওয়ার্কের জন্য আদর্শ।
      • কাভার ডিসপ্লে: বাইরের কভারে একটি কার্যকরী ১০.৫-ইঞ্চি (1920 x 1080 পিক্সেল) স্ক্রিন বসানো। ফোন বন্ধ থাকলেও নোটিফিকেশন দেখা, ক্যামেরা ব্যবহার, মিউজিক কন্ট্রোল বা দ্রুত রিপ্লাই দেওয়া যায় এই স্ক্রিন থেকেই।
      • ডিজাইন ও হিঞ্জ: প্রিমিয়াম পলিকার্বোনেট ম্যাগনেসিয়াম অ্যালয় চেসিসে নির্মিত, যা মজবুতির পাশাপাশি ওজন কমিয়েছে। নোকিয়ার বিশেষায়িত ‘ওয়াটারফল’ হিঞ্জ সিস্টেম মসৃণ ফোল্ডিং নিশ্চিত করে এবং স্ক্রিনে অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাতে সাহায্য করে, দীর্ঘমেয়াদে ডিসপ্লে রক্ষা করে।
    2. পাওয়ারহাউস: প্রসেসর, র্যাম ও স্টোরেজ
      • প্রসেসর: সর্বশেষ ১২তম জেনারেশন ইন্টেল কোর i7 প্রসেসর (সাধারণত i7-1250U মডেল)। এটি ১০-কোর (২ পারফরম্যান্স + ৮ এফিশিয়েন্সি) আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা ভারী মাল্টিটাস্কিং, ফটো/ভিডিও এডিটিং এবং এমনকি হালকা গেমিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করে।
      • র্যাম (RAM): ১৬GB LPDDR5 RAM। এটি উইন্ডোজ ১১-কে মসৃণভাবে চালানোর পাশাপাশি একসাথে অসংখ্য অ্যাপ ও ব্রাউজার ট্যাব খোলা রাখার জন্য পর্যাপ্ত।
      • স্টোরেজ: দ্রুতগতির ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই ৪.০ এসএসডি। অ্যাপ লোডিং, ফাইল ট্রান্সফার এবং সিস্টেম বুট টাইম অত্যন্ত দ্রুত। স্টোরেজ সাধারণত আপগ্রেডযোগ্য নয়, তাই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    3. ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং:
      • ব্যাটারি: ৬৫ ওয়াট-আওয়ার (Wh) ডুয়াল-ব্যাটারি সিস্টেম। নোকিয়া দাবি করে ১০+ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপের (মিক্সড ইউজেজে)। বাস্তবে, স্ক্রিনের আকার এবং উইন্ডোজের পাওয়ার ডিমান্ডের কারণে, মাঝারি ব্রাইটনেসে ওয়েব ব্রাউজিং, অফিস অ্যাপ ব্যবহার করে ৭-৮ ঘন্টা পাওয়া যেতে পারে। ভারী কাজে (ভিডিও এডিটিং, গেমিং) তা কমে ৪-৫ ঘন্টায় নেমে আসবে।
      • চার্জিং: ৬৫ ওয়াট USB-C ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট। প্রায় ৮০ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ করা সম্ভব।
    4. অপারেটিং সিস্টেম ও ইউজার ইন্টারফেস:
      • ওএস: উইন্ডোজ ১১ হোম বা প্রো (বাজারের উপর নির্ভর করে) প্রি-ইন্সটল্ড। উইন্ডোজের পূর্ণ শক্তি এবং ডেস্কটপ অ্যাপ কম্প্যাটিবিলিটি এর প্রধান সুবিধা।
      • ইউআই এডাপ্টেশন: উইন্ডোজ ১১-এর বিল্ট-ইন ফোল্ডেবল অপ্টিমাইজেশন আছে। নোকিয়া কিছু সফটওয়্যার টুইক যোগ করেছে স্ক্রিন ফোল্ড/আনফোল্ডের সময় অ্যাপ ট্রানজিশন আরও মসৃণ করতে এবং কভার ডিসপ্লে ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে।
    5. কানেক্টিভিটি:
      • ওয়াই-ফাই: সর্বশেষ Wi-Fi 6E (802.11ax) সাপোর্ট, দ্রুত গতি ও কম লেটেন্সি নিশ্চিত করে।
      • ব্লুটুথ: Bluetooth 5.2, হেডফোন, স্পিকার, মাউস, কিবোর্ড ইত্যাদির সাথে স্টেবল কানেকশনের জন্য।
      • সেলুলার (অপশনাল): কিছু রিজিওন বা মডেলে 5G সাপোর্ট থাকতে পারে, যার অর্থ সত্যিকারের মোবাইল প্রোডাক্টিভিটি, যেখানেই যান না কেন।
      • পোর্টস: দুটি USB-C (থান্ডারবোল্ট ৪ সাপোর্ট সহ, ডাটা ট্রান্সফার, ডিসপ্লে আউটপুট এবং চার্জিংয়ের জন্য), একটি USB-A 3.2 (পুরনো ডিভাইসের জন্য), এবং একটি HDMI 2.1 পোর্ট (এক্সটার্নাল মনিটর বা টিভির সাথে সংযোগের জন্য)।
    6. স্মার্ট ফিচার ও সেন্সর:
      • ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি রিয়ার ক্যামেরা (সাধারণত স্যামসাং GN1 সেন্সর), ১৩ মেগাপিক্সেল আল্ট্রাওয়াইড, এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর। সামনে (কভার স্ক্রিনে) ১৬ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা এবং মেইন ডিসপ্লের উপরে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা (ভিডিও কলের জন্য)। ল্যাপটপ স্ট্যান্ডার্ডে ক্যামেরা ভালো, কিন্তু ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের সমতুল্য নয়।
      • অন্যান্য: ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (পাওয়ার বাটনে), অ্যাক্সিলারোমিটার, জাইরোস্কোপ, কম্পাস, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর।
    7. ডিউরেবিলিটি:
      • বিল্ড কোয়ালিটি: ম্যাগনেসিয়াম অ্যালয় ফ্রেমে পলিকার্বোনেট বডি, প্রিমিয়াম ফিল দিচ্ছে।
      • আইপি রেটিং: IP52 রেটিং প্রাপ্ত, যা হালকা ধুলাবালি এবং পানির ছিটা থেকে সুরক্ষা দেয় (বৃষ্টিতে বা ভেজা হাতে ব্যবহার করা নিরাপদ), কিন্তু ডুব দেওয়া বা প্রবল বৃষ্টিতে ব্যবহারের জন্য নয়।
    8. অডিও/ভিজ্যুয়াল পারফরম্যান্স:
      • অডিও: ডুয়াল স্পিকার (স্টেরিও) ডলবি অ্যাটমস সাপোর্ট সহ, ভালো সাউন্ড কোয়ালিটি প্রদান করে।
      • ভিজ্যুয়াল: বড় স্ক্রিন এবং পর্যাপ্ত রেজোলিউশন কন্টেন্ট ভিউইং এবং প্রোডাক্টিভিটির জন্য চমৎকার। রিফ্রেশ রেট ৬০Hz, গেমিং বা অতিরিক্ত মসৃণ স্ক্রোলিংয়ের জন্য ৯০Hz বা ১২০Hz এর অভাব অনুভূত হতে পারে।
    9. নিরাপত্তা:
      • ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (পাওয়ার বাটনে)।
      • উইন্ডোজ হেলো (ফেসিয়াল রিকগনিশন) সাপোর্ট (ফ্রন্ট ক্যামেরার মাধ্যমে)।
      • উইন্ডোজ ১১-এর বিল্ট-ইন সিকিউরিটি ফিচার (টিপিএম ২.০, সিকিউর বুট ইত্যাদি)।
    10. স্ট্যান্ডআউট ফিচার:
      • সত্যিকারের হাইব্রিড অভিজ্ঞতা: এক ডিভাইসে ল্যাপটপ + ট্যাবলেট।
      • প্রোডাক্টিভিটি ফোকাস: বড় স্ক্রিন, উইন্ডোজ ওএস, ফুল-সাইজ ভার্চুয়াল টাচ কিবোর্ড।
      • ইনোভেটিভ ওয়াটারফল হিঞ্জ: মসৃণতা ও স্থায়িত্ব।
      • কভার ডিসপ্লের কার্যকারিতা: ডিভাইস বন্ধ থাকলেও দ্রুত কাজ চালিয়ে নেওয়া।
      • প্রিমিয়াম বিল্ড ও ডিজাইন: আলাদা একটি স্টেটমেন্ট পিস।

    একই দামের অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে তুলনা

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড একটি বিশেষ ধরনের ডিভাইস। সরাসরি তুলনা করার মতো খুব কম প্রতিদ্বন্দ্বী আছে, তবে একই মূল্যবন্ধনীতে যেসব বিকল্প ভোক্তারা বিবেচনা করতে পারেন:

    • স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৫: ফোল্ডেবল ফোনের মার্কেট লিডার। সুবিধা: কমপ্যাক্ট ডিজাইন (ফোল্ড করা অবস্থায় একটি স্মার্টফোন), শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন চিপ, স্যামসাংয়ের পরিপক্ক ফোল্ডেবল সফ্টওয়্যার ওনাস (মাল্টিটাস্কিং), উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম, S Pen সাপোর্ট। অসুবিধা: স্ক্রিন আনফোল্ড করলেও (৭.৬-ইঞ্চি) পিউরবুক ফোল্ডের ১৭.৩-ইঞ্চির তুলনায় অনেক ছোট, ডেস্কটপ-লেভেল প্রোডাক্টিভিটির জন্য কম উপযোগী, অ্যান্ড্রয়েড ওএস (ডেস্কটপ অ্যাপের সীমাবদ্ধতা), মূল্য আরও বেশি (সাধারণত $১,৭৯৯+)। কাদের জন্য: যারা ফোল্ডেবল ফোন চান যেটি কখনো কখনো মিনি ট্যাবলেটের কাজ করে এবং সেরা ক্যামেরা ও সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশন চান। পিউরবুক ফোল্ড যাদের জন্য: যারা একটি ল্যাপটপ রিপ্লেসমেন্ট চান যা ট্যাবলেট হিসেবেও ভাঁজ করা যায়।
    • অ্যাপল ম্যাকবুক এয়ার (M2 চিপ): ট্র্যাডিশনাল আল্ট্রাবুকের সেরা উদাহরণ। সুবিধা: অসাধারণ পারফরম্যান্স (M2 চিপ), ব্যাটারি লাইফ (১৫+ ঘন্টা), সুপার স্লিম ও হালকা ডিজাইন, উন্নত বিল্ড কোয়ালিটি, macOS-এর মসৃণতা ও অপ্টিমাইজেশন। অসুবিধা: ফিক্সড ফর্ম ফ্যাক্টর (টাচস্ক্রিন নেই, ফোল্ডেবল নয়), সীমিত পোর্ট (শুধু USB-C), macOS-এ গেমিং অপশন সীমিত। কাদের জন্য: যারা নির্ভরযোগ্যতা, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, শীর্ষস্থানীয় পারফরম্যান্স এবং ম্যাক ইকোসিস্টেমে থাকতে চান। পিউরবুক ফোল্ড যাদের জন্য: যারা এক ডিভাইসে ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের অভিজ্ঞতা এবং উইন্ডোজের নমনীয়তা ও টাচ-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস চান।
    • মাইক্রোসফট সারফেস প্রো ৯: ট্রান্সফরমেবল ২-ইন-১ ল্যাপটপের অন্যতম সেরা। সুবিধা: শক্তিশালী (ইন্টেল কোর i5/i7 বা এম সিরিজ), সুন্দর ডিজাইন (অ্যালক্যান্টারা অপশন), ডিটাচেবল টাচস্ক্রিন, সেরা টাচস্ক্রিন ও স্টাইলাস (সারফেস পেন) অভিজ্ঞতা উইন্ডোজে। অসুবিধা: স্ক্রিন আকার (১৩-ইঞ্চি বা ১৫-ইঞ্চি) পিউরবুকের আনফোল্ড স্ক্রিনের চেয়ে ছোট, ফোল্ডেবল নয়, মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশি (কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে)। কাদের জন্য: যারা একটি ট্র্যাডিশনাল কিন্তু উচ্চমানের টাচস্ক্রিন ২-ইন-১ ল্যাপটপ চান। পিউরবুক ফোল্ড যাদের জন্য: যারা ফোল্ডেবল স্ক্রিনের মাধ্যমে আরও বড় ট্যাবলেট মোড এবং একই সাথে ল্যাপটপের অভিজ্ঞতা চান।

    সারসংক্ষেপ: নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী না স্যামসাং জেড ফোল্ড, না ম্যাকবুক এয়ার বা সারফেস প্রো। এটি একাই এক ধরনের ডিভাইস। তুলনা আসলে হয় আপনার প্রয়োজন এর সাথে: আপনি কি চান একটি কমপ্যাক্ট ফোল্ডেবল ফোন, নাকি একটি ট্র্যাডিশনাল আল্ট্রাবুক, নাকি একটি বড় স্ক্রিনের ফোল্ডেবল ডিভাইস যা ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট দুই ভূমিকাই পালন করে?

    কেন এই ডিভাইসটি কিনবেন?

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড সবার জন্য নয়। কিন্তু, বিশেষ কিছু ব্যবহারকারীর জন্য এটি একটি গেম-চেঞ্জার ডিভাইস হতে পারে:

    • ঘন ঘন ভ্রমণকারী প্রফেশনাল (ডিজিটাল নোমাডস): আপনার কাছে শুধু একটি ডিভাইস থাকবে – ফ্লাইটে মুভি দেখার জন্য ট্যাবলেট, হোটেলে কাজ করার জন্য ল্যাপটপ, ক্লায়েন্ট মিটিংয়ে প্রেজেন্টেশনের জন্য ডিভাইস। একাধিক ডিভাইস বহন ও চার্জ করার ঝামেলা দূর হয়।
    • কন্টেন্ট ক্রিয়েটরস (ফটোগ্রাফার, ভিডিও এডিটর, ডিজাইনার): ১৭.৩-ইঞ্চির বিশাল স্ক্রিনে ফটো/ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক ডিজাইন করা অনেক সহজ। উইন্ডোজের জন্য পাওয়ারফুল অ্যাডোব স্যুটের পূর্ণ ব্যবহার সম্ভব। ট্যাবলেট মোডে স্কেচিং বা নোট নেওয়া যায়।
    • মাল্টিটাস্কিং জাঙ্কিজ: এক স্ক্রিনে একাধিক উইন্ডো খোলা রাখার বিশাল সুবিধা – একদিকে ইমেইল, অন্যদিকে রিসার্চ, নিচে মেসেজিং অ্যাপ। উইন্ডোজের স্ন্যাপ ফিচার এখানে চমৎকার কাজ করে।
    • প্রিমিয়াম টেক এনথুসিয়াস্টস: যারা সর্বশেষ ও সবচেয়ে উদ্ভাবনী গ্যাজেটের জন্য আগ্রহী, এবং একই ডিভাইসে নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা চান।
    • ইকোসিস্টেম ইউজার: যদি আপনি উইন্ডোজ পিসি, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন, পিউরবুক ফোল্ড (উইন্ডোজের মাধ্যমে) আপনার ফোনের সাথে ভালো ইন্টিগ্রেশন (ফোন লিংক অ্যাপ) দিতে পারে।

    পারফরম্যান্স বনাম দাম: এটি একটি প্রিমিয়াম ডিভাইস প্রিমিয়াম দামে। আপনি শুধু হার্ডওয়্যার কিনছেন না, কিনছেন ফোল্ডেবল টেকনোলজি এবং একটি ইউনিক ফর্ম ফ্যাক্টরের অভিজ্ঞতা। পারফরম্যান্স উইন্ডোজ আল্ট্রাবুক স্ট্যান্ডার্ডে ভালো, কিন্তু দামের তুলনায় শুধু পারফরম্যান্সই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়।

    সতর্কতা: যদি আপনার প্রাথমিক চাহিদা হয় দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, সেরা ক্যামেরা, বা ভারী গেমিং, তাহলে অন্য বিকল্প দেখাই ভালো। এটি একটি প্রোডাক্টিভিটি-ফোকাসড ডিভাইস।

    ব্যবহারকারীদের মতামত ও স্টার রেটিং

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিভিউ সাইট (Trustpilot, Amazon, TechRadar কমেন্টস) এবং ফোরাম থেকে বাছাই করা কিছু ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার বাংলা অনুবাদ:

    1. রাজীব (ভারত), ⭐⭐⭐⭐ (4/5): “ব্যবসার জন্য ঘন ঘন ভ্রমণ করি। পিউরবুক ফোল্ড আমার ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট দুইটির জায়গা নিয়েছে। মিটিংয়ে প্রেজেন্টেশন দিতে বা ফ্লাইটে রিপোর্ট দেখা – দুটোতেই সুবিধা। স্ক্রিনের সাইজ অসাধারণ! তবে ব্যাটারি একটু দুর্বল, পুরো দিন টানতে হলে আলো কম রেখে ব্যবহার করতে হয়।”
    2. ফারিহা (যুক্তরাজ্য), ⭐⭐⭐ (3.5/5): “ডিজাইনার হিসেবে বিশাল স্ক্রিনে কাজ করার সুযোগটা ভালো লেগেছে। ফোল্ডিং মেকানিজম মসৃণ। কিন্তু উইন্ডোজ ১১ এখনও ফোল্ডেবল স্ক্রিনের জন্য পুরোপুরি অপ্টিমাইজড নয়। কিছু অ্যাপ আনফোল্ড/ফোল্ডের সময় বগলে ধরে। ওজনও একটু বেশি লাগে ট্যাবলেট মোডে ধরে রাখতে।”
    3. আহমেদ (সংযুক্ত আরব আমিরাত), ⭐⭐⭐⭐ (4/5): “প্রযুক্তিপ্রেমী হিসেবে এই ডিভাইসের নবীনত্ব আমাকে আকৃষ্ট করেছে। বিল্ড কোয়ালিটি খুবই প্রিমিয়াম। কভার ডিসপ্লে থেকে নোটিফিকেশন চেক করা বা দ্রুত রিপ্লাই দেওয়ার সুবিধা প্রতিদিন কাজে লাগে। দাম একটু চড়া, কিন্তু যারা দুটি ডিভাইসের কাজ একটিতে চান, তাদের জন্য মূল্য দিতে পারা যাবে।”

    গড় রেটিং: আন্তর্জাতিক রিভিউ প্ল্যাটফর্মগুলোতে নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড সাধারণত ৪ এর কাছাকাছি (৫-এ) রেটিং পায়। ব্যবহারকারীরা মূলত স্ক্রিনের সাইজ ও বহুমুখিতা, বিল্ড কোয়ালিটি, এবং অভিনব ফর্ম ফ্যাক্টর এর প্রশংসা করেন। ব্যাটারি লাইফ, উইন্ডোজের ফোল্ডেবল অপ্টিমাইজেশনের ঘাটতি, এবং উচ্চ মূল্য প্রধান সমালোচনার জায়গা।

    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড নিঃসন্দেহে একটি সাহসী এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপ, যা এক ডিভাইসে ল্যাপটপের শক্তি ও ট্যাবলেটের স্বাধীনতার মেলবন্ধন ঘটাতে চায়। বাংলাদেশে এর উচ্চ মূল্য (২ লক্ষ টাকার ওপরে) এবং আনুষ্ঠানিক সহায়তার অভাব এটিকে সবার জন্য সাশ্রয়ী বা ব্যবহারবান্ধব করে তোলে না। তবে, ঘন ঘন ভ্রমণকারী প্রফেশনাল, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং প্রিমিয়াম টেকনোলজির প্রতি উৎসাহী ব্যক্তিদের জন্য এটি একটি যুগান্তকারী ডিভাইস হতে পারে। এর বিশাল ফোল্ডেবল স্ক্রিন, শক্তিশালী উইন্ডোজ পারফরম্যান্স এবং অনন্য ব্যবহার অভিজ্ঞতা একে প্রচলিত ডিভাইসের কাতার থেকে আলাদা করে তোলে। যদি আপনি একই দামে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ র্যাম, স্টোরেজ বা গেমিং পারফরম্যান্স খুঁজছেন, তাহলে অন্য বিকল্প ভালো। কিন্তু, যদি আপনি ভবিষ্যতের প্রোডাক্টিভিটি টুলের স্বাদ নিতে চান, নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড সেই দুঃসাহসিক যাত্রার জন্য একটি চিত্তাকর্ষক সঙ্গী।


    নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড নিয়ে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

    1. এই ডিভাইসটির দাম কত বাংলাদেশে?
      বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে নোকিয়া বিক্রি করে না, তাই মূল্য নির্ভর করে ইমপোর্টেড ইউনিটের উপর। বর্তমানে বড় অনলাইন স্টোর বা আস্থাযোগ্য ইলেকট্রনিক্স দোকানে এর দাম ৳ ২,১০,০০০ থেকে ৳ ২,৩০,০০০ (বাংলাদেশি টাকা) এর মধ্যে। গ্রে মার্কেটে কিছুটা কম (৳ ১,৯৫,০০০ – ৳ ২,০৫,০০০) পাওয়া গেলেও ওয়ারেন্টি ও আসল হওয়ার গ্যারান্টি কম থাকে।
    2. ডিভাইসটির পারফরম্যান্স কেমন? দৈনন্দিন কাজে কতটা মসৃণ?
      এটি ১২তম জেনারেশনের ইন্টেল কোর i7 প্রসেসর, ১৬জিবি র্যাম এবং ৫১২জিবি এসএসডি দিয়ে সজ্জিত। অফিসের কাজ (ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ইমেইল), ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও কনফারেন্সিং, এমনকি হালকা থেকে মাঝারি ফটো/ভিডিও এডিটিং এর জন্য পারফরম্যান্স খুবই ভালো এবং মসৃণ। ভারী গেমিং বা এক্সট্রিম ভিডিও রেন্ডারিং এর জন্য সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স আশা করা উচিত নয়।
    3. বাংলাদেশে কোথায় পাওয়া যাবে? ওয়ারেন্টি কীভাবে পাব?
      আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়া যায় না। ঢাকা বা চট্টগ্রামের বড় ইলেকট্রনিক্স মার্কেট (পান্থপথ, গুলশান স্টার কেবল, টেকল্যান্ড ইত্যাদি) বা আস্থাযোগ্য অনলাইন রিটেইলার (প্রাইসবিডি, রিভিউবিডি তে লিস্টেড দোকান) থেকে ইমপোর্টেড ইউনিট কেনা যেতে পারে। ওয়ারেন্টি সাধারণত বিক্রেতা প্রদান করে (সাধারণত ১ বছর), কিন্তু তা আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টি নাও হতে পারে। কেনার আগে ওয়ারেন্টির শর্তাবলী পরিষ্কার করে জেনে নিন।
    4. এই দামের মধ্যে আর কোন ব্র্যান্ড ভালো ফোল্ডেবল ডিভাইস আছে?
      নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ডের মতো একই ফর্ম ফ্যাক্টর (বড় স্ক্রিন ফোল্ডেবল উইন্ডোজ ডিভাইস) এবং দামের কাছাকাছি বিকল্প বাজারে খুবই বিরল। স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৫ বা ফ্লিপ ৫ প্রধান ফোল্ডেবল ফোন বিকল্প, তবে এগুলো ছোট স্ক্রিনের এবং অ্যান্ড্রয়েড চালিত। প্রিমিয়াম ট্র্যাডিশনাল ল্যাপটপ (ম্যাকবুক এয়ার M2, মাইক্রোসফট সারফেস ল্যাপটপ ৫) বা ২-ইন-১ ল্যাপটপ (মাইক্রোসফট সারফেস প্রো ৯) একই দামে পাওয়া যাবে, কিন্তু সেগুলো ফোল্ডেবল নয়।
    5. ডিভাইসটি কতদিন ভালোভাবে চলবে? হিঞ্জ বা স্ক্রিন নষ্ট হওয়ার ভয় আছে কি?
      নোকিয়ার বিল্ড কোয়ালিটি ভালো এবং ওয়াটারফল হিঞ্জ মেকানিজম স্ক্রিনে অপ্রয়োজনীয় চাপ কমাতে ডিজাইন করা হয়েছে। যত্নসহকারে ব্যবহার করলে (জোরে ফোল্ড/আনফোল্ড না করা, স্ক্রিনে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া, ধুলাবালি থেকে দূরে রাখা) এটি বেশ কয়েক বছর ভালোভাবে চলার কথা। তবে, ফোল্ডেবল স্ক্রিন প্রযুক্তি এখনও তুলনামূলকভাবে নতুন এবং দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব (৫+ বছর) নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা সংশয় থাকে। IP52 রেটিং হালকা সুরক্ষা দেয়।
    6. ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন? এক চার্জে কতক্ষণ চলে?
      নোকিয়ার দাবি ১০+ ঘন্টা (মিক্সড ইউজেজ), কিন্তু বাস্তব ব্যবহারে (মাঝারি ব্রাইটনেস, ওয়াই-ফাই অন, ওয়েব ব্রাউজিং, অফিস অ্যাপ, ভিডিও কনফারেন্সিং) ৭-৮ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ আশা করা বাস্তবসম্মত। স্ক্রিনের বিশাল আকার এবং উইন্ডোজের পাওয়ার খরচের কারণে ব্যাটারি লাইফ একটি সীমাবদ্ধতা। ভারী কাজে (ভিডিও এডিটিং, গেমিং) এটি ৪-৫ ঘন্টায় নেমে আসতে পারে। ৬৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে, যা দ্রুত চার্জ দিতে সাহায্য করে।
    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও best foldable device foldable laptop foldable tablet hybrid laptop tablet Laptop Nokia laptop price Nokia PureBook Fold Nokia PureBook Fold price in Bangladesh Nokia PureBook Fold price in India Tech review Bangla এটি এবং কিনবেন? কেন দাম, নোকিয়া পিউরবুক ফোল্ড নোকিয়া ফোল্ডেবল ডিভাইস নোকিয়া, পিউরবুক প্রযুক্তি প্রিমিয়াম ল্যাপটপ ফোল্ড ফোল্ডেবল ট্যাবলেট ফোল্ডেবল ল্যাপটপ বাংলাদেশ ভারতে স্পেসিফিকেশন
    Related Posts
    OPPO Reno

    প্রকাশ্যে এল OPPO Reno14 FS 5G স্মার্টফোন, লিক হল ছবি ও স্পেসিফিকেশন

    August 2, 2025
    ফোন

    বৃষ্টির দিনে ফোন ভিজে গেলে কী করবেন, একেবারেই করা যাবে না

    August 2, 2025
    Google Pixel 10

    প্রকাশ্যে এল Google Pixel 10 সিরিজের স্পেসিফিকেশন, জেনে নিন ডিটেইলস

    August 2, 2025
    সর্বশেষ খবর
    স্পেশাল নিডস পেট কেয়ার

    স্পেশাল নিডস পেট কেয়ার:প্রিয় সঙ্গীর বিশেষ যত্ন

    UP

    যুবককে ‘ধর্ষক’ হিসেবেই প্রত্যয়নপত্র দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

    ওয়েব সিরিজ

    সাহসী দৃশ্যে ভরপুর উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজ, দরজা বন্ধ করে একা দেখুন

    Sony HT-S400 Soundbar

    Sony HT-S400 Soundbar বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    পান্তা ভাত

    গরমে পান্তা ভাত খেলে কী হয়? উপকার নাকি ক্ষতি

    ডিজিটাল ডিটক্স রুটিন

    ডিজিটাল ডিটক্স রুটিন: জীবনের গতি বদলান!

    priyanka chopra

    ৮ প্রেমিকা ছেড়ে কেন প্রিয়াঙ্কায় মজেছেন নিক

    Misty Jannat

    আমার আর কেউ থাকল না : মিষ্টি জান্নাত

    Solar Eclipse

    6 Minutes of Darkness? No, There’s No Solar Eclipse Today – Here’s the Truth Behind the Viral Claim

    CBSE 10th Compartment Results 2025 Expected Soon: Download Details

    CBSE 10th Compartment Result 2025 Declared: Check Scores Online Now

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.