আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমুদ্রের শসা বা সি কিউকাম্বারের স্বাদ পেতে মরিয়া কিছু মানুষ। আর তার জেরেই সমুদ্রের তলা থেকে যখন তখন তুলে আনা হচ্ছে সমুদ্রের শসা। দক্ষিণ ভারত লাগোয়া সমুদ্র সহ লাক্ষাদ্বীপের আশপাশ।
জলের তলায় ছড়িয়ে আছে সামুদ্রিক শসার সংসার। সব সামুদ্রিক শসা যে একই রকম দেখতে হয় এমনটাও নয়। তবে শসা বলা হলেও এটা কিন্তু কোনও ফল নয়। কোনও গাছেও হয়না।
এগুলি আসলে এক ধরণের প্রাণি। যা ভারতে শিকার করাই নিষিদ্ধ। সোজা পথে তা শিকার করা সম্ভব না হওয়ায় এখন শুরু হয়েছে চোরাশিকার।
জলের তলা থেকে দেদার চুরি হয়ে যাচ্ছে এই সামুদ্রিক শসা বা সি কিউকাম্বার। চিনের অন্যতম উপাদেয় পদ হল এই সি কিউকাম্বার।
চিনের মানুষের রসনা তৃপ্তি ও সেখান থেকে এই সামুদ্রিক প্রাণির বিপুল চাহিদা সামাল দিতে চলছে চুটিয়ে চোরাশিকার। যাতে লাগাম দেওয়াও মুশকিল হচ্ছে। অথচ এটি ভারতের একটি সংরক্ষিত প্রাণি।
মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ে এই চোরাশিকারিরা। যারা সমুদ্রের তলায় নেমে লুকিয়ে তুলে আনে সি কিউকাম্বার। হালেই একবার ৫০০ কেজি ও একবার ১ হাজার কেজি সি কিউকাম্বার ধরা পড়েছে। কিন্তু তারপরেও দক্ষিণ ভারতের উপকূলীয় এলাকা এবং শ্রীলঙ্কায় চুটিয়ে চলে সি কিউকাম্বারের নিধন।
যদিও ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটা ফারাক আছে। ভারতে যেমন সি কিউকাম্বার তোলা নিষিদ্ধ, শ্রীলঙ্কায় তেমন নয়। শ্রীলঙ্কায় সরকারের কাছ থেকে বিশেষ লাইসেন্স নিয়ে শ্রীলঙ্কার সমুদ্র জলভাগের অংশে সি কিউকাম্বার ধরা যায়। কিন্তু সেখানেও লাইসেন্সের তোয়াক্কা না করেই চোরাশিকারিরা সমুদ্রের তলা থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে সি কিউকাম্বার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।