আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ১৮ দফা সুপারিশ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। সুপারিশে দলটি জাতীয় নির্বাচনের আগে আগামী নভেম্বর মাসে কমিশনকে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দলটির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার।
বৈঠক শেষে গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৮ দফার মধ্যে গণভোটকে নির্বাচনের আগে করতে হবে।…যে জাতীয় সনদ তৈরি হচ্ছে, জুলাই জাতীয় সনদে সেসব বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, জাতিকে তো সেটা জানতে হবে। জানার পরেই না তারা “হ্যাঁ”, “না” ভোট দেবে। যদি একই দিনে ভোট হয়, তাহলে ভোটারও তো জানতে পারল না।
সংস্কার ও জাতীয় সনদের বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনকে জনসমক্ষে করতে হবে বলে জানান পরওয়ার। তারা ওয়েবসাইটে দেবেন, জনগণ জানবে, ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেবেন, বলেন তিনি। সেটার জন্য নভেম্বরই উপযুক্ত সময়, বলছেন জামায়াতের এই নেতা।
দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, একই দিনে ভোট হলে কেন্দ্রে সহিংসতা হতে পারে, দু–চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হতে পারে।…ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশাটা কী হবে? এগুলোর ব্যাপারে ওনারা কোনো নেতিবাচক কথা বলেননি। ধৈর্যের সঙ্গে শুনেছেন। মনে হচ্ছে, আমাদের কথার প্রতি ওনারা কনভিন্স হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা খোলামেলা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে বলে জানান জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, আমরা বলেছি, উই আর অলওয়েজ রেডি টু গিভ অল কাইন্ড অব কো-অপারেশন টু ইলেকশন কমিশন। আমরা এটা দিতে থাকব, কিন্তু নির্বাচনটা আমাদের সুষ্ঠু করতে হবে।
জোট করলেও নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপির আপত্তির বিষয়ে জামায়াত নেতা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এ সংশোধন অনুমোদিত হয়েছে। এটা হওয়ার পরও আমরা দেখলাম, সম্ভবত গত ২৫ তারিখে একটি দলের পক্ষ থেকে এসে এটাকে আবার সংশোধন করার জন্য বলা হয়েছে, এটাকে আপত্তি জানানো হয়েছে। এমনকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড লঙ্ঘন করে খুবই দুঃখজনকভাবে।…উনারা বলেছেন যে এ সংশোধন পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। এটা নিয়ে আমাদের এক নেতার সঙ্গে একজন উপদেষ্টার কথা হয়েছে। একটা জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চিফ কমিশনারকে বলেছি যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ভঙ্গ হওয়ার এর চেয়ে খারাপ উদাহরণ আর কী হতে পারে? এখানে কমিশনের সিদ্ধান্ত, উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত সংশোধন হয়ে গেছে। তারপর কি একজন উপদেষ্টা একটা দলের নেতার সঙ্গে জেন্টলম্যান অ্যাগ্রিমেন্ট করতে পারেন? সেটা সংশোধনের ব্যাপারে, যেগুলো এত পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে জড়িত, জাতির সঙ্গে জড়িত, সুষ্ঠু ভোটের সঙ্গে জড়িত, এটা ওনারা শুনেছেন। আমরা সে ব্যাপারে ঘোর আপত্তি জানিয়েছি, এটা কোনোক্রমেই সংশোধন করা যাবে না। সংশোধিত যে বিধান আছে, এর ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে।
বৈঠকে আরও অংশ নেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির, নির্বাহী পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



