ন্যূনতম মজুরি : শ্রমিকদের দাবি ২০ হাজার, মালিক দেবে অর্ধেক

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি

জুমবাংলা ডেস্ক : তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ। তবে মালিকপক্ষ ২৪০০ টাকা বাড়িয়ে সর্বনিম্ন বেতন ১০ হাজার ৪০০ টাকা দিতে চায়। আগামী ১ নভেম্বরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে জানুয়ারিতে নতুন বেতন কার্যকর করতে চায় উভয়পক্ষ।

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি

রবিবার (২২ অক্টোবর) নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার কাছে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে উভয়পক্ষ। শ্রমিকপক্ষে সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি লিখিত প্রস্তাব জমা দেন। উভয়পক্ষের প্রস্তাব গ্রহণ করেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা।

তিনি বলেন, সভায় শ্রমিকপক্ষ নিম্নতম মজুরি আট হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। বিপরীতে মালিকরা ২ হাজার ৪০০ টাকা বাড়াতে চান। এ অবস্থায় দু’পক্ষকেই ছাড় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

শ্রমিকদের চাওয়ার বিপরীতে মালিকদের প্রস্তাবিত বেতনের ব্যবধান প্রায় ১০ হাজার টাকা। বৈঠকে এই ব্যবধান কমিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি উভয়পক্ষ। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ১ নভেম্বরের বৈঠক পর্যন্ত।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড-২০২৩ এর শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, বর্তমানের বাজার দরসহ জীবনযাত্রার আনুসঙ্গিক ব্যয় ধরে প বেতন প্রস্তাব করেছি।

সারা বছর নতুন কোন পোশাক কপালে জুটতো না : চঞ্চল চৌধুরী

মালিক প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আগামীতে আরেকটা বৈঠক করবো। ওই বৈঠকে আমাদের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে চেষ্টা করবো সর্বনিম্ন মজুরি কতটা বাড়ানো যায়। শ্রমিকদের বলবো তারাও কতটা ছাড় দিতে পারেন। সবমিলিয়ে জানুয়ারিতে নতুন বেতন কার্যকর হবে। এবারই প্রথম সরকারের ভর্তুকিমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে শ্রমিকপক্ষ।