সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. জামাল উদ্দিনকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি মানিকগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মো. জামাল উদ্দিন (৩৪) মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত। একইসঙ্গে তিনি আসন্ন “বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন- বিএনএ” নির্বাচনে মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তাঁর দাবি, প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাঁকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন।
বুধবার (২১ মে) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্তরা তাঁর ওপর হামলা চালান। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. শাহিনুর রহমান শাহিনসহ আরও অন্তত পাঁচজন সিনিয়র নার্স তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে শাহিনুর রহমান তাঁর গলা চেপে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। পরে অন্য অভিযুক্তরাও তাঁকে মারধরে অংশ নেন। হামলার সময় জামাল উদ্দিন মাটিতে পড়ে গেলে তাঁরা পিটুনির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন।
চিৎকার শুনে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ও অন্য কর্মীরা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা চলে যান। তবে যাওয়ার সময় তাঁরা আবারও হুমকি দেন, জামাল উদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে তাঁকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
মো. জামাল উদ্দিন আরও বলেন, “আমি এ ঘটনার পরে স্থানীয়দের সহায়তায় চিকিৎসা নিই এবং আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে থানায় অভিযোগ করতে একটু দেরি হয়।”
নার্স জামালকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ও ‘বিএনএ’ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রার্থী শেফালি আক্তার। তিনি বলেন, বিএনএ একটি পেশাদারী সংগঠন। আমরা নার্সদের নানা সমস্যা ও অধিকার নিয়ে কথা বলি। তবে আসন্ন বিএনও নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
অভিযোগের বিষয়ে নার্স মো. শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করছে। তবে আমি তাদের শুভ কামনা জানাই, কারণ তারা আমার ছোট ভাই।
নার্স শাহীন বলে, নির্বাচন উপলক্ষে আমি ভোট চাইতে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই। তখন জামালের সঙ্গে আমার দেখা হলে আমি তার কাছেও ভোট চাই। মাথায় হাত দিয়ে জামালের জন্যও দোয়া করি। পরে চলে আসার পরে শুনি, আমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে। সঠিক তথ্য জানতে প্রয়োজনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখার অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।