কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছর পাওয়া যায়। সস্তা ও সহজলভ্য এই ফলের পুষ্টিগুণও অনেক। কিন্তু প্রতিদিন কলা খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে—এটি শরীরের জন্য সবসময় উপকারী, নাকি কোনো ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে? সেটাই জানাব আজ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
শক্তির ভালো একটি উৎস হচ্ছে কলা।
এটি প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) সমৃদ্ধ। এটি খুব দ্রুত এনার্জি দেয়। তাই খেলোয়াড়, পরিশ্রমী শ্রমিক বা ব্যায়ামের আগে-পরের জন্য আদর্শ খাবার। এ ছাড়া
কলা ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া এতে থাকা পেকটিন হজম প্রক্রিয়া মসৃণ করে এবং অন্ত্রের সুস্থ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলা পটাশিয়ামের অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে কলা।
এটি ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করে, যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন মন ভালো রাখতে এবং স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেশি শক্ত রাখতে এবং ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের শোষণও বৃদ্ধি করে, ফলে হাড় মজবুত হয়। মাঝেমধ্যে ও পরিমিত কলা খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে, কারণ পটাশিয়াম কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ক্ষতিকর দিক
কলার ক্ষতির দিকটিও মাথায় রাখা জরুরি। একটি মাঝারি সাইজের কলায় প্রায় ১০০–১২০ ক্যালরি থাকে। প্রতিদিন অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার ক্যালরি খরচ কম হয়। যদিও কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি, তবুও ডায়াবেটিক রোগীদের বেশি কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত কলা খাওয়ায় রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা কিডনি সমস্যা বা হৃদযন্ত্রে অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে—তবে এটি বিরল এবং সাধারণত কিডনি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কলার টায়রামিন নামের যৌগ মাইগ্রেনের ট্রিগার হতে পারে। আবার কারো কারো কলায় অ্যালার্জি হয়।
সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১–২টি মাঝারি আকারের কলা নিরাপদ ও উপকারী। ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শে খাওয়া উচিত। কিডনির দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা বেশি খাওয়া ভালো।
সূত্র : টিভি৯ বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।