জুমবাংলা ডেস্ক: নওগাঁর আত্রাইয়ে এবারে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল দাম পেয়ে বাদাম চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে।
জানা যায়, আত্রাই উপজেলা নদী মাত্রিক এলাকা। এ উপজেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী “আত্রাই নদী”। নদীর দুই তীরে পতিত থাকে বিস্তীর্ণ জমি। এসব জমি ব্যক্তি মালিকানা হলেও সেগুলোতে তেমন কোন আবাদ হতো না। সম্প্রতি ওই জমিগুলোতে বাদাম চাষ শুরু করেন এলাকার কৃষকরা। বাদাম একটি লাভজনক ফসল। এ ফসলে স্বল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া যায়। বাড়তি পরিশ্রমও নেই বললেই চলে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে বেশ লাভবান হওয়া যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ থেকে ৯ মণ বাদাম উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজার অনুযায়ী এক বিঘা জমি থেকে বাদাম বিক্রি হয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। যা বোরো চাষেও সম্ভব নয়। এ জন্য এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নের কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। নদীর দুই তীর ছাড়াও বিভিন্ন মাঠে বাদামের চাষ বেড়েছ। কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সার্বিন দিক নির্দেশনা পেলে বাদাম চাষ আরও বাড়বে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
উপজেলা সদুপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি আত্রাই নদীর তীরে সদুপুর নামক স্থানে আড়াই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। তার জমিতে বিঘা প্রতি ৮ মণ হারে বাদাম উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে দামও ভাল পাওয়ায় তিনি আনন্দিত। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে কোন প্রকার সহায়তা তিনি পাননি। সহায়তা পেলে বিভিন্ন ফসল চাষে আরও সাফল্য বয়ে আনতে পারবেন বলে তার মন্তব্য।
উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম কাউছার হোসেন বলেন, এবারে উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৮০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে কৃষকরা যাতে সাফল্য পান এ জন্য আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।