মসজিদ হলো মুসলিম সমাজের মূলকেন্দ্র। তাই রাসুল (সা.) হিজরতের প্রথম দিনই মসজিদ নির্মাণের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। মসজিদের আদব রক্ষা করে অমুসলিমদের জন্যও মসজিদে প্রবেশ করার অনুমতি আছে। আর দাওয়াতি উদ্দেশ্যে হলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের আবাদ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১৮)
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ, মুশরিকরা তো অপবিত্র; কাজেই এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল হারামের ধারে-কাছে না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্রের আশংকা কর তবে আল্লাহ্ ইচ্ছে করলে তার নিজ করুণায় তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা, (৯), আয়াত, ২৮)
উসমান ইবনে আবিল আস রা. বর্ণনা করেন– যখন ছাকীফ গোত্রের প্রতিনিধিদল নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসল, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মসজিদে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। যেন তাদের দিল নরম হয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ৩০২০)
হানাফি মাজহাব মতে, অমুসলিমরা কোনো প্রয়োজন হলে মুসলমানদের অনুমতি নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে।
ইমাম শাফেয়ি (রহ)-এর মতে, অমুসলিমরা মসজিদুল হারামে প্রবেশ করতে পারবে না, তবে অন্য যেকোনো মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে।
ইমাম আহমদ (রহ.)-এর মতে, অমুসলিমরা হেরেম শরিফে প্রবেশ করতে পারবে না, তবে অন্য যেকোনো মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।