আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে নজির গড়েছে এক হাম্পব্যাক তিমি। সঙ্গীর টানে ১৩ হাজার ৪৬ কিলোমিটার (৮,১০৬ মাইল) পথ পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আফ্রিকার উপকূলে পৌঁছেছে এই সামুদ্রিক প্রাণী।
সাধারণত হাম্পব্যাক তিমির অভিবাসনের পরিধি ৮ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এই তিমিটি তার স্বাভাবিক পরিধির দ্বিগুণেরও বেশি পথ অতিক্রম করেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, প্রেমের সন্ধানেই এতো দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করেছে এটি, যা তিমির অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
গবেষণায় মিললো নতুন তথ্য
এই ব্যতিক্রমী ঘটনার বিস্তারিত উঠে এসেছে রয়্যাল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, এবারই প্রথম কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ হাম্পব্যাক তিমিকে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত এত দূরত্বে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে।
২০১৩ সালে কলম্বিয়ার উপকূলে প্রথমবার এই তিমিকে শনাক্ত করা হয়। এরপর কয়েক বছর পর আবার একই অঞ্চলে দেখা যায়। কিন্তু ২০২২ সালে গবেষকরা অবাক হয়ে যান, যখন তারা একই তিমিকে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে জাঞ্জিবারের কাছে ভারত মহাসাগরে দেখতে পান।
কেন এতটা পথ পাড়ি দিল তিমিটি?
তিমির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী টেড চিজম্যান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হ্যাপি হোয়েল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হয়। চিজম্যানের মতে, হয়তো খাবারের অভাব এবং নিজের সঙ্গীর জন্য প্রতিযোগিতার কারণে তিমিটি এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। তিনি বলেন,
‘তিমিরাও স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী, এবং তারা আশ্চর্যজনক কাজ করতে পারে। মহাসাগরগুলো একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত, তাই তিমিরা মাঝেমধ্যে নিজেদের সীমানা ছাড়িয়ে অজানা পথে পাড়ি জমায়।’
এই বিস্ময়কর যাত্রা শুধু তিমির বিচরণ ক্ষেত্রই নয়, বরং সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান সম্পর্কেও নতুন দিক উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।