আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনাটি পাকিস্তানের। দেশটির সিন্ধ প্রদেশের করাচি নগরীর গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় ঘটে এ বর্বর ঘটনা। জানা গেছে, অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে স্ত্রীকে জোরাজুরি করছিলেন আশিক নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু তাতে রাজি হননি স্ত্রী। এর জের ধরে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। এরপর তার মরদেহ কড়াইয়ে ফুটিয়ে সেদ্ধ করেন আশিক। তাও আবার নিজের সন্তানদের সামনেই।
গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের রান্নাঘর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রান্নাঘরের কড়াইয়ে পড়ে ছিল লাশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী আশিক একটি স্কুলের দারোয়ানের কাজ করতেন। স্কুলেরই আবাসনে থাকতেন তিনি। তবে ওই স্কুলটি আট থেকে নয় মাস ধরে বন্ধ। দম্পতির ১৫ বছরের মেয়ে এই বিভীষিকাময় ঘটনার কথা প্রথমে পুলিশকে জানায়। ততক্ষণে তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যান আশিক।
এসএসপি (ডিস্ট্রিক্ট ইস্ট) আব্দুর রহিম শেরাজি জানিয়েছেন, দম্পতির অন্য তিন সন্তানকে তারা উদ্ধার করেছেন। চোখের সামনে মায়ের এই নৃশংস পরিণতি দেখে আতঙ্কে রীতমতো কাঁপছে তারা।
বাচ্চাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর তার মরদেহ কড়াইয়ে সিদ্ধ করা হয়। ওই নারীর এক পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটালেন আশিক, তা স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্ত্রীকে অবৈধ সম্পর্কে জড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আশিক। স্বামীর কথা না রাখার ফলেই এই পরিণতি হয়েছে ওই নারীর। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সূত্র: জিও নিউজ, ডেইলি পাকিস্তান, প্রোপাকিস্তানি, আরাইনিউজ, দ্য নিউজ পিকে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।