জুমবাংলা ডেস্ক : নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের ২টি গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা প্রায় ৩শ’ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী জব্দসহ ওই গুদামের মালিক মাসুদ রানা (৪০)কে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গুদামে এঅভিযান চালিয়ে এসব ভোগ্যপণ্য জব্দ করা হয়। এসবের আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা আঞ্জুমান বানুর নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক মাসুদ রানা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে।
জব্দকৃত খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ২৩১ মেট্রিক টন গম, ২০ টন ৭২ লিটার সয়াবিন তেল, ৮ টন আটা, ৩২ মেট্রিক টন ছোলা-বুট এবং ৪ টন চিনি রয়েছে।
মাসুদ এন্টারপ্রাইজের নামে খাদ্যপণ্য মজুদ করলেও ওই নামে কোনো লাইসেন্স পায়নি প্রশাসন। এ ঘটনায় আটক ব্যবসায়ী মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আনজুমান্দ বানু জানান, মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে একটি গুদামে বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছে আমাদের কাছে এমন গোপন তথ্য ছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে মাসুদ রানা নামে ওই ব্যবসায়ীর গুদামে অভিযান চালানো হয়। গুদামে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীর অবৈধ মজুদ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, গুদামটিতে প্রায় ১ বছর সময় ধরে গম মজুদ করা হয়েছিল। লাইসেন্স ছাড়াই গম, সয়াবিন, চিনি, ছোলা ও আটার ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। মাসুদ রানার একটি গুদাম তল্লাশি চালিয়ে ফিরে আসার পথে জানতে পারি আরও একটি গুদামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মজুদ রয়েছে। রাতে ওই গুদামে অভিযান চালিয়ে আরও ১০৩ মেট্রিক টন গম জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে তার দুটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদের দায়ে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, মান্দা উপজেলা প্রশাসনের পরিচালিত অভিযানে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুতের দায়ে মাসুদ রানাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা জানান, রমজানকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যপণ্য মজুদ করে মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান হয়। তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদের দায়ে জেলার ৩৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ধরনের মজুদ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।