অবরোধের প্রভাব নেই কাঁচাবাজারে, সবজির দাম কমতি

কাঁচাবাজারে অবরোধের প্রভাব

জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর কাঁচাবাজারে অবরোধের প্রভাব পড়েনি। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় বরং, সবজির বাজার কমতির দিকে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে লাগাম টানা যাচ্ছে না আলু-পেঁয়াজের দামে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১৫০ টাকায় এবং আলুর কেজি ৭০ টাকা।

কাঁচাবাজারে অবরোধের প্রভাব

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ঘুরে সরেজমিনে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতোই ক্রেতা-বিক্রেতায় স্বাভাবিক রাজধানীর কাঁচাবাজার। পণ্যের কোনো ঘাটতিও নেই সবজির দোকানে। দামও কমতির দিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।

বাজারের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, এ সপ্তাহে সবজির দাম তেমন বাড়েনি। সবজি এখন ভরপুর আমদানি হচ্ছে। মূলত, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে দাম অনেক কম।

সবজির দামের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পটলের দাম ৮০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ছিল। এক সপ্তাহে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেগুনের দাম অনেক কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা ছিল। এ সপ্তাহে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম নিয়ে এক ক্রেতা বলেন, কাল যে দামে কিনেছি। আজও সেই দামেই সবজি কিনেছি। এমনিতেই দাম বেশি। নতুন করে দাম বাড়েনি।

তবে বাজারজুড়েই অস্বস্তি আলু-পেঁয়াজের দামে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই জানালেন, নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে এই দুই পণ্যের দাম ও সরবরাহ। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোববার (২৯ অক্টোবর) থেকে রফতানির ন্যূনতম মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের বাজার। ছবি: সময় সংবাদ

আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা আলু পাইকারিতেই প্রতি কেজি কিনছি ৫৫ টাকা। আমরা ৬০ টাকায় বিক্রি করছি। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক বেশি। দেশি পেঁয়াজ এক কেজি পাইকারিতেই ১২৫ টাকা। বর্তমানে আমরা এটি খুচরাই ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছি।’

কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রভাব বাজারে পড়েনি উল্লেখ করে এক বিক্রেতা বলেন, ‘বাজারে অবরোধের প্রভাব এখনও পড়েনি। তবে আলু ও পেঁয়াজের দাম বেশি। দেশি পেঁয়াজ আজ কিনে এনেছি ১৩৫ টাকা কেজি।’

এই দুই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এক ক্রেতা বলেন, কিছু দিন আগে আমি ৯০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিল। আজ কিনলাম ১৫০ টাকা করে, আর ৭০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আলু। যে আকাশছোঁয়া দাম! মানুষ বাঁচবে কি করে। মানুষের কি বাঁচার কোনো জায়গা আছে?

এদিকে মাছবাজারে অন্যদিনের তুলনায় ক্রেতা কিছুটা কম। তবে সরবরাহ রয়েছে চাহিদা মতো। তাই বাড়েনি দামও। মাছের দাম নিয়ে এক বিক্রেতা বলেন, বাজারে মোটামুটি আগের তুলনায় তেমন একটা দাম বেশি না।

এবার কষ্ট সার্থক হলো : সানিয়া মালহোত্রা

রাজধানীর খিলগাঁও বাজারে প্রতি কেজি বড় রুই মাছে ৩৫০ টাকা, ছোট রুই ২৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ৭০০ টাকা, ছোট পাঙাশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বাঘাইর ১ হাজার ২০০ টাকা এবং সব ধরনের ছোট মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রণ হয়ে পড়া ডিম বেচাকেনা হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন দরে।