জুমবাংলা ডেস্ক : আবদুল বারিক। খোয়াই নদের পশ্চিমে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আছিপুর গ্রামের বাসিন্দা। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা বারিক ৫০ বছর ধরে ফেরিওয়ালা হিসেবে সবজি আর ফল বিক্রি করে আসছেন। তিন ছেলে ও দুই মেয়ে বড় হওয়ার পর কিছুটা বিশ্রাম পাবেন—এমনটাই প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু সন্তানরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এই বৃদ্ধ বয়সেও কাঁধ থেকে আর বোঝাটা নামাতে পারেননি। আবার কাঁধের বোঝাটাকে মালপত্র কিনে ভারী করে শহরে আনবেন, সেই সামর্থ্যও নেই। বিষয়টি শুভসংঘ হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্যদের চোখে পড়লে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পাশে দাঁড়ানোর। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১২ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় আবদুল বারিকের হাতে তুলে দেন পুঁজির টাকা। এই টাকা পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন বারিক।
আবদুল বারিক জানান, আছিপুর গ্রামে নিজের কিছু জমি আছে। সেখানে সবজিসহ বিভিন্ন ফল আবাদ করেন। পাশাপাশি গ্রামে ঘুরে ঘুরে কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফল ও সবজি কিনে প্রতিদিন সকালে রওনা হন হবিগঞ্জ শহরের উদ্দেশে। শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে নেমে কাঁধে করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এই মালপত্র বিক্রি করেন। অফিসের দিন আদালত প্রাঙ্গণে বসে বিক্রি করেন। বেশি ওজন বহন করা সম্ভব হয় না।
আবার বেশি মালপত্র ক্রয় করার মতো পুঁজিও নেই তাঁর হাতে। শুভসংঘ সহায়তা করায় ধন্যবাদ জানান তিনি। আবদুল বারিক আরো বলেন, ‘সারা দিন ফেরি করে আল্লাহ আমাকে যা দেন, তাতেই আমি খুশি।
আমার স্ত্রী অসুস্থ। তার চিকিৎসাও করাতে হয়। ছেলেমেয়েরা তাদের সংসার নিয়েই ব্যস্ত। তারা আমাকে দেখে না। আমাকে সারা জীবনই কষ্ট করতে হলো। তবে মানুষ আমাকে ভালোবেসে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে।’
ভরপুর রোমান্সে পরিপূর্ণ এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
শুভসংঘের এই আয়োজনে অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা অ্যাডভোকেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জিপি-ভিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুল। উপস্থিত ছিলেন জনি আহমেদ রাজু, রনি হোসাইন, শেখ ফয়জুল হক, সানজিদা আক্তার উর্মি ও হ্যাপী আক্তার। সব শেষে শুভসংঘের সদস্যরা শায়েস্তানগর এলাকায় প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি বিতরণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।