আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) লংমার্চে গুলি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন দলের আরও কয়েক নেতা। সেইসঙ্গে দলের এক কর্মীও নিহত হয়েছেন। এই নিয়ে আজ শুক্রবার প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন ইমরান খান।
টেলিভিশন ভাষণে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগে থেকেই জানতাম ওয়াজিরাবাদ ও গুজরাটের মধ্যে আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কীভাবে আমি জেনেছি? অভ্যন্তরীণ লোকেরা আমায় বলেছে। ওয়াজিরাবাদের আগের দিন, তারা আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
পিটিআই প্রধান বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং মেজর জেনারেল ফয়সাল আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এ ছাড়া ওয়াজিরাবাদে তার ওপর হামলার বর্ণনা দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, যখন তিনি কন্টেইনারে ছিলেন তখন তার ওপর বুলেট ছোড়া হয়। এতে তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং পড়ে যান। এরপর তার দিকে আরও একটি গুলি ছোড়া হয়, সেখানে দুইজন লোক ছিল।
এ ছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, একজন সন্দেহভাজনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাকে দাবি করা হচ্ছে উগ্রপন্থী। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি উগ্রপন্থী নয় বলে জানান ইমরান। তিনি বলেছেন, এই প্রচেষ্টার পেছনে একটি পরিকল্পনা ছিল এবং আমরা তা উদঘাটন করব।
ইমরান আরও বলেছেন, জাতি অবশেষে জেগেছে এবং এখন সামনে দুটি পথ, শান্তিপূর্ণ বা রক্তাক্ত বিপ্লব। তৃতীয় কোন পথ নেই বলে জানান ইমরান খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।