জুমবাংলা ডেস্ক : সাদিক অ্যাগ্রোর ১৫ লাখ টাকার ছাগলকাণ্ডে সমালোচনার তুঙ্গে থাকা যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানেরই ছেলে বলে জানিয়েছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। তিনি বলেছেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান।
ড. মো. মতিউর রহমান তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাসাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল প্রেসিডেন্ট। ইফাত তাকে বাবা বলে পরিচয় দিলেও তিনি বিষয়টি অস্বীকার করছেন। ইফাতকে ছেলে বলে পরিচয় দিতে চাচ্ছেন না।
এ অবস্থায় ১৫ লাখ টাকার ছাগল ১২ লাখে কিনে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টিকারী ইফাতের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাজন নানাভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। কেউ কেউ ট্রল করছেন।
এ পরিস্থিতিতে ইফাতের বিষয়ে মুখ খোলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তিনি দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইফাত তার মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা।
নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি, রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এর আগে ওই গণমাধ্যমে মতিউর রহমান বলেন, ছাগলকাণ্ডে ভাইরাল হওয়া ওই ছেলেকে আমি চিনি না। সে আমার সন্তান নয়। আমার নাম জড়ানোয় আমি এবং আমার পরিবার অনেক বিব্রত। ওই ছেলে আমার আত্মীয় বা পরিচিতও নয়। আমার এক ছেলে; নাম তৌফিকুর রহমান। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অপ্রচারের প্রতিবাদ করব।
ছাগলটি কেনার প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘সাদিক এগ্রো’ ফার্মের কর্ণধার মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন জানান, আলোচিত ওই তরুণ কেবলমাত্র এক লাখ টাকা দিয়ে ছাগলটি বুক করেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি পুরো টাকা পরিশোধ করে ছাগলটিকে খামার থেকে বাড়িতে নিয়ে যাননি।
ফেসবুকে ট্রোল:
ইফতের ছাগল কেনা, তার বাবার পরিচয় ও ফেসবুকে তার আইডিতে নানা দামের গাড়ির সঙ্গে ছবি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা বেড়ে চলেছে।
‘একটি ছাগল, সারা জীবনের কান্না’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনেকে। একজন লিখেছেন- ‘কী এক জামানা এলো, একটি ভুলে বাবা তার সন্তানকে অস্বীকার করে। সম্পর্ক বদলে গেল একটি ভুলে। ’
আরেকজন লিখেছেন, কোটি টাকার বাগান খাইলো লাখ টাকার ছাগলে।
অপর একজন লিখেছেন, ইফাত মতির পোলা নাকি মতি ইফাতের বাপ- সেইটা নিয়ে ধুয়া উঠায়া ফালাইতাসে মানুষ। ওই দিকে রাফি ইকবাইল্লারে গাইলায়, ইকবাইল্লা রাফিরে গাইলায়। এই দুই তুফানে জুজু ধরসে। এখন আমার প্রশ্ন হইলো ইফাত পোলাডা আসলে কোন বাবার?
ইফাতের ভাষ্য:
ছাগল কেনা নিয়ে ধারাবাহিক সমালোচনা হলে মুখ খোলেন ইফাত। তিনি সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরানকে তার খুব কাছের একজন ভাই বলে পরিচয় দেন। তবে, ছাগলটি তিনি কেনেননি বলেও দাবি করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি দোষ অনেকটা ইমরানের কাঁধে ফেলেন।
ইফাত বলে, ‘ইমরান ভাই আমাকে বলেন খাসিটাকে একটা থাপ্পড় দাও, তাহলে দেখ সে কি করে। ’ তার কথামতোই কাজটি করি। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছবি ও ভিডিও আপলোড করেন ইফাত।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।