খেলাধুলা ডেস্ক : ২০১৩ সালে অমিত সম্ভাবনা নিয়ে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস ছেড়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। সেখান থেকে বার্সেলোনা, পিএসজি ও আল-হিলাল হয়ে যেন তিনি চক্র পূরণ করলেন। এক যুগ পর আবারও শৈশবের ঠিকানা সান্তোসে ফিরলেন নেইমার। স্বভাবতই বিষয়টি তার জন্য আবেগের হলেও আক্ষেপটাও কি ঠিক এড়িয়ে যেতে পারবেন? ইনজুরির কারণে ইউরোপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অর্জন আসেনি, সৌদিতে দেড়বছরে খেলেছেন কেবল ৭ ম্যাচ।
সবমিলিয়ে ৩২ বছর বয়সে যেখানে ফুটবল বিশ্বকে রাজত্ব করার কথা এই ব্রাজিল তারকার, সেই সময় তিনি যেন শেষের হাঁটা–ই শুরু করেছেন। তবে কিছুদিন আগেই নেইমার জানিয়েছিলেন– ফুটবল ক্যারিয়ারে তার কোনো আক্ষেপ নেই। হয়তো ইনজুরির নিয়তিটাকেই মেনে নিয়েছেন তিনি। তবে নেইমারের হাতে একক কোনো অর্জন দেখতে চাওয়া সমর্থকদের স্বপ্নের তো কোনো সমাধান মেলেনি। সাও পাওলো’র ক্লাবে গতকাল (শুক্রবার) দ্বিতীয় দফায় পা রেখেছেন তিনি, সেরেছেন ৬ মাসের চুক্তিও।
ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের মালিক এই তারকার নতুন প্রত্যাবর্তনকে সান্তোস জানিয়েছে এভাবে– ‘দ্য প্রিন্স ইজ ব্যাক।’ স্বদেশি কিংবদন্তি পেলে’র স্মৃতিবিজড়িত ক্লাবে ফেরার পর আবেগও ঝরেছে নেইমারের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘কিশোর বয়সে আমি এখানে (প্রথম) এসেছিলাম, সামনে ছিল নিজুত স্বপ্ন। ভিলা বেলমিরো আমাকে স্বাগত জানিয়েছিল এবং সানন্দেই এখানে বেড়ে উঠি আমি। সান্তোস আমাকে বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিল, তবে আমার হৃদয় পড়ে ছিল এখানেই। তোমাদের সঙ্গে অতীতের সকল স্মৃতি আমার এখনও স্মরণে আছে।’
নেইমার আরও বলেন, ‘আমি সবসময়ই আবারও এখানে ফিরতে চেয়েছি। (ফুটবল) রাজা পেলে’র অনুরোধ আমার কাছে আদেশ। রাজত্ব ও মুকট আপনারই থাকবে, কারণ আপনি চিরন্তন। কিন্তু ১০ নম্বর জার্সি পরা অনেক সম্মানের। যেটি বিশ্বে অন্যরকম মহৎ কিছুর প্রতিনিধিত্ব করে। আমি আপনার লিগ্যাসি ধরে রাখতে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করব, কিং। আমি ছেড়ে যাই, আবার ফিরে আসি, যা আপনিও জানেন, তাই না? বেশ, রাজকুমার ফিরে এসেছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।