আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিযোগ, পার্টিতে বসের সঙ্গে সম্পর্ক করার জন্য স্ত্রীকে জোরাজুরি করেন ওই ব্যক্তি। পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক ব্যক্তি সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন পার্টিতে। সেখানে হাজির ছিলেন অফিসের বস। পার্টিতে বসের সঙ্গে সম্পর্ক করার জন্য স্ত্রীকে জোরাজুরি করেন ওই ব্যক্তি।
কিন্তু স্বামীর এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না স্ত্রী। এই কারণে স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে এখানেই অত্যাচার শেষ হয়নি। এর পর বাপের বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আনার জন্য স্ত্রীকে ওই ব্যক্তি চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তার পরই বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মহারাষ্ট্রের কল্যাণের বাসিন্দা। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তি সঙ্গে ২৮ বছরের মহিলার বিয়ে হয়েছে এ বছর জানুয়ারি মাসে। তিনি ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। বসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হতেই ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে তিন তালাক দেন বলে অভিযোগ।
২০১৯ সালের পর থেকে ভারতে তিন তালাক দণ্ডনীয় অপরাধ। এর পাশাপাশি প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে চাপ দেন বলে অভিযোগ। তার পর ১৯ ডিসেম্বর সাম্ভাজি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। সেই অভিযোগ কল্যাণের বাজারপীঠ থানায় স্থানান্তরিত করা হয়।
বাজার কাঁপাচ্ছে সবচেয়ে কম বাজেটের অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রিক বাইক
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১১৫(২), ৩৫১(২), ৩৫১(৩) এবং ৩৫২ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি ২০১৯ সালের মুসলিম ওমেন (প্রোটেকশন অফ রাইটস অন ম্যারেজ) অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারাতেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।