লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘুম থেকে উঠেই আমাদের দিনের কাজ শুরু করে দিতে হয়। বেশির ভাগ মানুষই সকালে নাশতা সেরে দ্রুত ছোটেন অফিসের দিকে।কারণ, ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে যুদ্ধ করে অফিস ঢুকতে হবে। কিন্তু কাজের মধ্যেই অনেক সময় প্রচণ্ড ঘুম পায় এবং ঘন ঘন হাই ওঠে। আর তখনই মনে হয় কাজের টেবিলে মাথা নুয়ে দিয়ে একটা ঘুম দিতে পারলে আহ! কি আরামই না হতো। কিন্তু অফিস বলে কথা, আরামের কারণে আপনার চাকরিটাই হারাতে পারেন। চাকরি বাঁচাতে আপনাকে ঘুমকে দূর করতেই হবে। কিন্তু কীভাবে কাটাবেন এই অস্বস্তিকর অবস্থা?
অফিসে থাকা অবস্থায় ঘুম কাটানোর জন্য কিছু সহজ নিয়ম আছে। যেগুলো মেনে চললে সহজেই ঘুম ঘুম ভাব কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
১.অফিসে ঘুম কাটানোর সবচেয়ে প্রধান উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা। কাজে বেরোনোর আগে কিছুক্ষণ হাঁটা, যোগাসন বা রানিং, যে কোনো ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম শরীরকে সতেজ রাখে।
২.ঘুম কাটাতে ব্যায়ামের পাশাপাশি খাবারের দিকেও নজর রাখা দরকার। বিশেষ করে বেশি পরিমাণে চিনি খাওয়া যাবে না। তাতে ঘুমন্ত ভাব বাড়তে পারে।
৩. একটানা কাজও অনেক সময় ক্লান্ত করে দেয় শরীর। এজন্য অফিসে কাজের ফাঁকে ছোট ছোট বিরতি নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. দেহে পানির পরিমাণ যেন কম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। শরীরের পানির ভারসাম্য বজায় থাকলে ঘুমন্ত ভাবের সমস্যা অনেকটাই কেটে যায়।
৫. সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সিট ছেড়ে উঠে গিয়ে সহকর্মীদের খোঁজ নিন কিছুক্ষণ আড্ডা দিন। ঝিমুনি এসে কাজের ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না।
৬. দিনের প্রথমভাগেই ভারী ও কঠিন কাজগুলি সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। সাধারণত এই সময়েই শারীরিক শক্তি ও মনোনিবেশ করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে।
৭. পিপারমিন্ট লিফ বা পুদিনা পাতার চনমনে ঘ্রাণ ঘুমভাবকে তাৎক্ষণিকভাবে তাড়াতে কাজ করবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ পুদিনা পাতার চা কিংবা অফিসে কাজের ফাঁকে এই চা পানে ঘুমভাব দূর হয়ে যাবে সহজেই।
৮. মরুভূমি অঞ্চলের মানুষ শুকনো খেজুর খেয়ে উত্তপ্ত পথে চলার শক্তি পায়। আমরাও এই খেজুর খেয়ে শরীরে দীর্ঘ সময় কাজ করার শক্তি পেতে পারি।
৯. কর্মক্ষেত্রে চাপ থাকবেই। কিন্তু তা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে পেশাদার থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলুন। কোনও ভাবেই মানসিক চাপ যেন আপনার ঘুমের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।অফিসে যাতে ঘুম না পায় সে জন্য রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমোনো দরকার। আর তাই ‘স্লিপ হাইজিন’ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।