স্মার্টফোনে লেখার ধরন বদলে যাচ্ছে। কিবোর্ডে আঙুল চালানোর বদলে অনেকেই এখন ভয়েস টাইপিং বেছে নিচ্ছেন। বিশেষ করে সিরি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা এলেক্সার মতো ভয়েস এআই ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার ফলে ‘মাইক্রোফোনে বললেই লেখা; এ অভ্যাস এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ভয়েস টাইপিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গুগলের জি-বোর্ড। টাইপ করার সময় কিবোর্ডের ডান পাশে থাকা মাইক্রোফোন আইকনে ট্যাপ করলেই ভয়েস ইনপুট চালু হয়।
‘ডিলিট’, ‘ক্লিয়ার অল’, ‘সেন্ড’ বা ‘সার্চ’র মতো ভয়েস কমান্ড দিয়েই সম্পূর্ণ টাইপিং এবং মেসেজ পাঠানোর কাজ সারা যায়। চাইলে অফলাইনেও কাজ করতে পারে, তবে সেটিংস থেকে Voice Typing I Offline Speech Recognition চালু করতে হবে। অন্যদিকে, আইফোনে ডিফল্ট অ্যাপল কিবোর্ডেই ডিকটেশন ফিচার থাকে। Settings > General > Keyboard > Enable Dictation চালু থাকলে ভয়েস টাইপ করা যায়। ব্যবহারকারী চাইলে ‘নিউ লাইন’, ‘কমা’, ‘পিরিয়ড’, এমনকি ইমোজিও ভয়েস কমান্ডে যুক্ত করতে পারেন। তবে অ্যান্ড্রয়েডের মতো সরাসরি ‘সেন্ড’ বা ‘সার্চ’ কমান্ড এখানে সব সময় কাজ করে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভয়েস টাইপিং শুধু হাতমুক্ত ব্যবহারের সুবিধা নয়, বরং দ্রুত লেখালেখির জন্য এক অনন্য টুল। প্রফেশনাল, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, সব শ্রেণির ব্যবহারকারীর জন্য এটি হয়ে উঠতে পারে কার্যকর একটি ডিজিটাল সহকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।