জুমবাংলা ডেস্ক : রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় কে কখন বিপদে পড়ে তা বলা মুশকিল। বর্তমানে যাত্রাপথে আতংকের নাম অজ্ঞান পার্টি। এ পার্টির সদস্যরা সাধারণত রমজান ও ঈদকে মোক্ষম সময় ধরে নেমে পড়ে মাঠে।
এদের প্রধান টার্গেট সাধারণ যাত্রীরা। বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে এ চক্রের সদস্যরা ছদ্মবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। টার্গেটকৃত ব্যক্তির সঙ্গে ভাব জমিয়ে যে কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় নেশা জাতীয় ট্যাবলেট। যাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে সর্বস্ব লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা।
এ চক্রের সদস্যরা অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী সেজে যানবাহনে ওঠে। এরপর টার্গেটকৃত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নেয়।
তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এ বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব; ভ্রমন পথে অযাচিতভাবে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা দিবেন না। আজকাল ডাবের ভিতরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।
কারো হাতে রুমাল দেখলে সতর্ক থাকুন। কারণ রুমালের মধ্যে ক্লোরোফর্ম মিশিয়ে আপনার নাকের কাছে ধরলেই আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন। ফুটপাতে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমান কারো কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি খাবেন না। বাসে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি জাতিয় কোন খাবার গ্রহণ করবেন না। সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছথেকে কোন খাবার গ্রহণ করবেন না। ভ্রমণের সময় চেষ্টা করবেন পরিচিত কাউকে সঙ্গে রাখার চেষ্টা করুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।