জুমবাংলা ডেস্ক : ঈদ যাত্রায় টিকিটের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ২৮, ২৯, ৩০ এপ্রিল ও ১ মে তারিখের। গতকাল রাজধানীর বড় বাস টার্মিনাল গাবতলী ও সায়েদাবাদে ঘুরে জানা যায়, নামকরা পরিবহনে ওই চার দিনের টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। কম পরিচিত পরিবহনে এখনো টিকিট রয়েছে। সদরঘাট টার্মিনালে গিয়ে জানা যায়, ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত লঞ্চের কেবিন বুকিং শেষ হয়ে গেছে।
গাবতলীতে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওগামী হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শরফুল আলম বলেন, ‘শেষের দিকের ওই চার দিন বাদে অন্যদিনের কোনো টিকিট এখনো বিক্রি হয়নি। ’ ঢাকা-খুলনা রুটের সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপক হোসেন আলী বলেন, ‘এবার দীর্ঘ ছুটির কারণে ঈদ যাত্রায় কোনো ভোগান্তি হবে বলে মনে হয় না। ২৮ ও ২৯ এপ্রিল তারিখের টিকিটের চাহিদা বেশি, আমাদের এ দুই দিনের টিকিট শুরুর দিনেই বিক্রি হয়ে গেছে। ’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি নামকরা পরিবহনের ব্যবস্থাপক বলেন, ‘এখন কেউ মুখ খুলছেন না, তবে ওই সব তারিখের টিকিটও পাওয়া যাবে। ’ কিভাবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময়ে রাজধানী শহরে চলাচলকারী অনেক বাস নতুন রং করে অতিরিক্ত ট্রিপ হিসেবে দূরপাল্লায় নামানো হবে, এটা প্রতিবছরই হয়। এতে বাসের ট্রিপসংখ্যা বাড়বে। অন্যদিকে টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও প্রতিটি পরিবহনে প্রায় ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি বাকি রয়েছে। শেষের দিকে এগুলো বেশি দামে বিক্রি করা হবে। ’
তবে এ বিষয়ে শ্যামলী, হানিফ, গোন্ডেন লাইন, এসআর, নাবিল ও রোজিনা পরিবহনের ম্যানেজারদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা কিছু বলতে রাজি হননি।
লঞ্চে কেবিনের বুকিং শেষ
দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের যাত্রার অন্যতম মাধ্যম লঞ্চের কেবিনের বুকিং আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে। গতকাল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, টার্মিনাল প্রায় ফাঁকা। লঞ্চে কর্মরত লোকজন বসে আছেন। লঞ্চের টিকিট কাউন্টারে লোকজন থাকলেও টিকিট ক্রেতার সংখ্যা খুব কম। দু-একটি ছাড়া বাকি লঞ্চ কম্পানিগুলোকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চ এমভি সুরভী-৭ লঞ্চে সিঙ্গেল কেবিনে ১০০ টাকা ভাড়া বেড়ে ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা হয়েছে। ডাবল কেবিনে ২০০ টাকা বেড়ে ২৪০০-২৬০০ টাকা হয়েছে। ভিআইপি ১০০০ টাকা বেড়ে ৭০০০ থেকে ৮০০০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে আগের ভাড়া এখনো বহাল আছে পারাবত-১২ লঞ্চে। সিঙ্গেল কেবিন ১৪০০ টাকা? ডাবল ২৮০০ টাকা, ভিআইপি ৮-১০ হাজার, ডেক ৩৫০ টাকা।
এম কে শিপিংয়ের টিকিট বিক্রয়কর্মী হাসান বলেন, ‘আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে এবং ১ মে পর্যন্ত সরাসরি টিকিট বুকিং হচ্ছে। এরই মধ্যে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের কেবিনের সব টিকিট বুকিং হয়ে গেছে। ’
সুরভী-৮-এর সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে যাত্রীরা আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট সুরভী বাদে আরো দুইটা ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুকিং দিতে পারছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের টিকিট বুকিং শেষ হয়েছে। শুধু ১ মে কিছু বুকিং খালি আছে। আশা করছি, আজকালের মধ্যে এগুলো শেষ হয়ে যাবে। ’
সুন্দরবন-১০-এর সুপারভাইজার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘ফোনে বা সরাসরি এসে যাত্রীরা কেবিন বুকিং দিতে পারছে। তবে এ ক্ষেত্রে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে? গত ১৭ এপ্রিল থেকে আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সব টিকিট বুকিং শেষ হয়েছে। ’
অ্যাডভেঞ্চার-১-এর কেরানি রফিক বলেন, ‘২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কেবিনের বুকিং শেষ হয়েছে। এ ছাড়া আমরা আগামী ১০ মে পর্যন্ত যাত্রীদের ফিরতি টিকিট বুকিং দিচ্ছি। ’ জাহিদ শিপিং লাইনের কেরানি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘ঈদে আমাদের চারটি লঞ্চ চলবে। ২৯ এপ্রিলের টিকিটের চাহিদা বেশি।’
সূত্র : কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।