বিনোদন ডেস্ক : দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে। ছোট পর্দার অন্যরকম খলনায়িকা ‘জুন আন্টি’ তাঁর সহকর্মী। সেই অভিজ্ঞতা কাজে এল? খানিক হেসে ঐশীর উত্তর, “ঊষসীদিকে দিনের পর দিন নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি। মনে হত এ ধরনের চরিত্র করতে গিয়ে মাথার উপর খুব চাপ পড়ে। এখন সেটা নিজের ক্ষেত্রেও অনুভব করতে পারছি।”
এমনিতে বেশ শান্তশিষ্ট। কাজের বাইরে সাতে পাঁচে থাকেন না বিশেষ। কিন্তু এখন তিনি খল নায়িকা। ‘শ্রীময়ী’র মিষ্টি দিঠি এখন ‘মন ফাগুন’-এর মিলি। পেশাগত জীবনের এই নতুন অধ্যায় কেমন লাগছে? এই সময় ডিজিটালকে জানালেন ঐশী ভট্টাচার্য।
এই প্রথম ছোট পর্দায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়। আচমকা কেন এমন সিদ্ধান্ত? অভিনেত্রীর উত্তর, “দিঠির চরিত্রে পর আমি অপেক্ষা করছিলাম ভালো কোনও চরিত্রের জন্য। যখন মিলির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলাম, খুব আগ্রহ জেগেছিল। এই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে একই সঙ্গে আমি দু’তিন রকমের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছিলাম। একজন ঠাণ্ডা মাথার ক্ষতিকর মানুষের চরিত্রে অভিনয় করাটা বেশ লোভনীয় মনে হয়েছিল। তাই এই সুযোগ ছাড়তে পারিনি।”
আগাগোড়াই ইতিবাচক ভূমিকায় অভিনয় করা ঐশীর কাছে সহজ ছিল না ‘মিলি’ হয়ে ওঠা। প্রস্তুতিও নিতে হয়েছিল বিস্তর। ঐশীর কথায়, “যে কোনও চরিত্র করার আগেই আমি একটা মানসিক প্রস্তুতি নিই। মিলির ক্ষেত্রেও তাই করেছিলাম। প্রথম তিন-চার দিন চরিত্রটাকে বুঝতে একটু সময় লেগেছিল ঠিকই। এখন অভ্যস্ত গিয়েছি। ঠাণ্ডা মাথায় যে একজন মানুষকে মেরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিতে পারে, সে রকম একটা চরিত্র ফুটিয়ে তোলাটা অভিনেত্রী হিসেবে আমার প্রাপ্তি।”
আকর্ষণীয় উপহার পেতে ক্লিক করুন এবং সহজ প্রশ্নের উত্তর দিন।
‘টাইপকাস্ট’ হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল না? ঐশী জানান, নেতিবাচক চরিত্র না করার উপদেশ তিনি অনেকের থেকেই পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “মিলি চরিত্রটা না করার কথা অনেকেই বলেছিলেন। তাঁদের হয় ছিল আমি টাইপকাস্ট হয়ে যাব। জানি, তাঁরা আমার ভালো চেয়েই বলেছিলেন কথাটা। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল একজন অভিনেত্রী হিসেবে সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করা উচিত।”
দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকে। ছোট পর্দার অন্যরকম খলনায়িকা ‘জুন আন্টি’ তাঁর সহকর্মী। সেই অভিজ্ঞতা কাজে এল? খানিক হেসে ঐশীর উত্তর, “ঊষসীদিকে দিনের পর দিন নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি। মনে হত এ ধরনের চরিত্র করতে গিয়ে মাথার উপর খুব চাপ পড়ে। এখন সেটা নিজের ক্ষেত্রেও অনুভব করতে পারছি।”
মাত্র কয়েক দিন হল পা গলিয়েছেন মিলির জুতোয়। তবে ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন ঐশী। তিনি বললেন, “একদিন এক চেনা দিদি আমার বাড়িতে এসেছিল। সে বলল, মিলির চরিত্রে আমার মুখটা নাকি বেশ শয়তান শয়তান লাগছে। সবাইকে নাকি এ রকম লাগে না। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কী-ই বা হতে পারে।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।